রূবাইয়াৎ-ই-অজিত কুমার ১২৯


পাঁচশো তেরো


বোধের ঘরের জানলাগুলো খুলে রাখি হাট করে
বাতাস এসে ঝাপটা দিয়ে বন্ধ করে গা'র জোরে।
তখন যেসব বার্তা আসে পায় না খুজে প্রবেশপথ
বোধের ঘরটা পুরোপুরি পুতিগন্ধে যায় ভরে।


পাঁচশো চোদ্দো


বর্ষা শেষে শরৎ এল নদীর বুকে জাগল চর
তোমার ছোঁয়া পেলে নদী হত ঠিকই অগ্রসর।
পল্লবিনী তিলোত্তমা কোথায় তুমি দাও দেখা
শুষ্ক হৃদয় সিক্ত করতে ওষ্ঠে ছোঁয়াও ওই অধর।


পাঁচশো পনেরো


বানের জলে সুখ ভেসে যায় কিন্তু দুঃখ বৃদ্ধি পায়
সারাজীবন দেখছি এটাই দীন-দরিদ্র নিরুপায়।
তাহলে কী দুঃখ দিতেই বছর বছর বন্যা হয়
এটাই তবে ললাটলিখন লাগছে বড়ই অসহায়।


পাঁচশো ষোলো


ঝরা পাতায় উঠছে ভরে এই পৃথিবীর পৃষ্ঠতল
আপনজনের বিয়োগব্যথায় ফেলে ক'জন চোখের জল!
এপার-ওপার কত তফাৎ আবির্ভাব ও তিরোভাব
শূন্য হয়ে মহাশূন্যে এক নিমেষে অস্তাচল।


© অজিত কুমার কর