রুবাইয়াৎ-ই-অজিত কুমার ১৩২


পাঁচশো পঁচিশ


তোমার রকমসকম দেখে আমার বড্ড হাসি পায়
কখন কী রূপ ধর তুমি বোঝার কোনো নেই উপায়।
তালের বড়া খেজুর রসের চায় তো সবাই ভাগ নিতে
ওর পিছনে কী মেহনত দড় কেবল বাগ্মিতায়।


চারশো ছাব্বিশ


তালতলাতে দাঁড়াও এসে দেখব কেমন শক্ত শির
তালের তিনটা আঁঠিই পাথর আস্ত মাথা না চৌচির!
যা সব কান্ড করছো তুমি ভাবছো বুঝি পাইনি টের
হেস্তনেস্ত করবো এবার শানিত বেশ আমার তির।


পাঁচশো সাতাশ


শরৎ এলেও চলছে বেজে বর্ষারানির জলনূপুর
আকাশ কালো কাশও ভেজা বিষণ্ণ তাই বাঁশির সুর।
শিউলি ফোটে ভোরেই ঝরে বৃষ্টিভেজা তাঁর সুবাস
আলোর বেণু বাজার সময় উঠুক সোনালি রোদ্দুর।


পাঁচশো আটাশ


হাঁড়ি হাঁড়ি খাচ্ছ তাড়ি ইজারাতে কয়টা গাছ?
একের বেশি অবশ্য তা চক্ষু দেখে করছি আঁচ।
সেদিন তোমার গায়ে পেলাম বুনোফুলের সুগন্ধ
ব্যাপারস্যাপার অন্যরকম সোনা ফেলে ধরলে কাচ!


© অজিত কুমার কর