রুবাইয়াৎ-ই-অজিত কুমার ১৩৪


পাঁচশো তেত্রিশ


এখন শরৎ তবুও কেন বেজেই চলে জলনূপুর
ভিজতে চাইছে জোছনাতে এখন আমার মনময়ূর।
একা একা ভিজব কেন ভিজবো আমরা দুইজনেই
শুনতে তুমি পাচ্ছ না কি ভূপালী তে বাশির সুর?


পাঁচশো চৌত্রিশ


ওই আকাশে মেঘ জমলে বৃদ্ধি পায় বিষণ্ণতা
এই চোখকে ফাঁকি দেওয়া বড়ই শক্ত জান তা।
সুখে-দুঃখে দুর্বিপাকে ওখানেই পাই সান্ত্বনা
সুবাসভরা শিউলি যেমন জোগান দেয় প্রসন্নতা।


পাঁচশো পঁয়ত্রিশ


পান থেকে চুন খসলে ধমক চক্ষুকর্ণ দুই খাড়া
সহস্র চোখ একশোটা কান পিছু পিছু দেয় তাড়া।
চোখ ফেরাবার পায় না সুযোগ খাড়া হয়ে পথ চলে
যত বিপদ নিজেই ডাকে বেরোয় না যে বউ ছাড়া।


পাঁচশো ছত্রিশ


রাত জাগলে মা এসে কয় পড়িস না রে খোকা আর
সারাদিন তো পড়িস লিখিস রাত্রি জাগার কী দরকার।
মানসপটে আঁকা আছে আমার পিছে মা'র ছবি
কখন কী কাজ করছি আমি চতুর্দিকে নজর তাঁর।


© অজিত কুমার কর