রুবাইয়াৎ-ই-অজিতকুমার ১৩৫


পাঁচশো সাঁইত্রিশ


কাঁখে কলশি মুখে হাসি কে দিয়ে যায় তালতাড়ি
খেলেই কেন চোখ টাটাবে গোটাব না পাততাড়ি।
কেউ যদি না পিয়ে ও রস দিন গুজরান কীভাবে?
ভরা কলশির ভারটা কেমন বহন করতে চাই গাড়ি।


পাঁচশো আটত্রিশ


সুতোটা তো কেটেই দিলে উড়বে ঘুড়ি কী করে
তবুও তো হারালো না রইল তোমার গোচরে।
টান দিলে ঠিক আসে কাছে সুতো ছাড়লে যায় দূরে
মাধ্যাকর্ষণ বলের জন্য ঘোরে একটা পথ ধরে।


পাঁচশো উনচল্লিশ


মন্দিরে-মসজিদে-গীর্জায় তিল ধারণের নেইকো ঠাঁই
পুণ্যলাভের আশায় হাজির হাসবো নাকি কাঁদবো ভাই?
মাতা-পিতা কোথায় আছে কেমন করে কাটছে দিন
ওদের কাছে ব্রাত্য এরা মানুষ এখন এমনটাই।


পাঁচশো চল্লিশ


কোনোদিন কী কাউকে তুমি একটুও সুখ দিয়েছ?
তবে কেন পরের মুখের গ্রাসটা কেড়ে নিয়েছ?
সকল প্রাণীর গ্রাসাচ্ছাদন করেন বিশ্ববিধাতা
তবু এত ঈর্ষা কেন একবারও কী ভেবেছ?


পাঁচশো একচল্লিশ


সেদিনও তো ফুটে ছিল বাংলাদেশে এমন কাশ
বিশশতকের ছিয়াশিতে জন্ম নিল অনুপ্রাস।
বটবৃক্ষের মতোই দিল কবিকুলকে শান্তি সুখ
জন্ম থেকে আজ অবধি গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস।


© অজিত কুমার কর