রুবাইয়াৎ-ই-অজিত কুমার ১০৪


                      চারশো তেরো


    জলের নূপুর আজ পরেছ শুনেই নাচে মনময়ূর
       চিন্তাধারায় নতুনত্ব বড়ই মধুর জলনূপুর।
    তোমায় দেখে উচ্ছ্বসিত মেঘপরিরা নামছে ওই
কী অপরূপ লাগছে তোমায় বাঁশিতে তাই মিলাই সুর।


                    চারশো চোদ্দো


      মেঘকন্যার রূপ-যৌবন উদ্ভাসিত শম্পাতে
শাড়ির ভাঁজে শিরিন ঝলক পারে না তা সামলাতে।
    দৃষ্টি তোমার পলকবিহীন কদমতরুর আড়ালে
       লাজে রাঙা অষ্টাদশী কুঁকড়ে গেল কুণ্ঠাতে।


                      চারশো পনেরো

    জলসাঘরে নাচের আসর মৎস্যকন্যা ব্যস্ত খুব
   গুবগুব গুব খুব শব্দ করে পানকৌড়ির তখন ডুব।
ওকে দেখেই চমকে ওঠে ঝাপটা দিয়ে জোর ধমক
    না জানিয়ে প্রবেশ কেন আক্কেল নেই বেয়াকুব।


                    চারশো ষোলো

ঝরাফুলকে আদর করে কেবলমাত্র মাটি-মা
   রূপ-যৌবন ছিল যখন তখন কত গরিমা।
   জুটত ভ্রমর প্রজাপতি সারাটাদিন গুঞ্জরন
   বিলাপ করা অনাবশ্যক নিরঞ্জনে প্রতিমা।


          © অজিত কুমার কর