রুবাইয়াৎ-ই-অজিত কুমার ৩৬২
১৪৪৫
দরজা খুলে যখন দাঁড়ায় অমনি দিনের ক্লান্তি দূর
তৃপ্তি তখন কানায় কানায় যখন বেরোয় মধুর সুর।
তেলেভাজা মুড়ির পরেই পৌঁছে গেল গরম চা
আমরা তো বেশ ভালোই আছি হতে পারি দীন -মজুর।
১৪৪৬
চিত্রশিল্পীর মনবিতানে সরস্বতীর অধিষ্ঠান
তাইতো অনায়াসে তাঁরা ছবিতেও ফোটায় প্রাণ।
পুঞ্জীভূত দুঃখ-ব্যথার প্রকাশ রঙের মাধ্যমে
ছবিই তখন কথা বলে খোলা রাখি চক্ষু-কান।
১৪৪৭
কেন যে গাও এই অবেলায় বিদায়বেলার করুণ গান
মায়ের মুখে হাসি ফোটায় তোমার মতো সুসন্তান।
অনেককিছু দেওয়ার আছে হয়নি সে কাজ সমাপন
ইচ্ছে করলে যায় না ছেঁড়া জন্মদাত্রীর নাড়ির টান।
১৪৪৮
সকল শ্রোতা বিমোহিত তোমার সুরের মূর্ছনায়
নর্তকীদের নাচ থামে না প্রকাশ অঙ্গভঙ্গিমায়।
শিরায় শিরায় অনুরণন অভিবাদন হাততালি
পরিশেষে দাঁড়িয়ে পড়ে সকলে সেলাম জানায়।
© অজিত কুমার কর