.         রুবাইয়াৎ-ই-অজিতকুমার ১০৫


                    চারশো সতেরো


সকল বীজে গজায় না গাছ মৃত্তিকাতে মিশে যায়
সঞ্চারিত কিছু আশা ফোটার আগেই প্রাণ হারায়।
তেলমাখানো বাঁশের মতো আশা-সিঁড়ি খুব পিছল
তুষারশৃঙ্গের হাতছানিতে তবুও মানুষ পা বাড়ায়।


                    চারশো আঠারো


  অপলকে তাকিয়ে থাকি এদিক-পানে নজর দিস
  বোধগম্য হয় না মোটে এদিক-ওদিক কী খুজিস।
তোর জন্য দুয়ার খোলা কোথাও যদি না-পাস ঠাঁই
   তখন এসে অকিঞ্চনের চওড়া বুকে মুখ গুঁজিস।


                    তিনশো উনিশ


   কী করে সব বুঝতে পার তোমার দিকে নজর কার
        জলনূপুরের শব্দ শুনি যেন বাজে সুরবাহার।
ভেজা-শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে ধরা তোমার শিরিন সাজ
দৃষ্টি আমার আটকে থাকে চোখ ফেরানো যায় না আর।


                     তিনশো কুড়ি


  ঝরাফুলে মাছি ভনভন মৌমাছি আর আসে না  
যৌবনকে ভালোবাসে প্রেমের ভেলায় ভাসে-না।
   স্বার্থান্বেষীর স্বার্থপূরণ হয়ে গেলেই পরিত্যাগ
পুষ্প ঠিকই বুঝতে পারে ব্যথা পেলেও কাঁদে না।


                   © অজিত কুমার কর