.                   একশো এক


   নীড় ছেড়ে বিহঙ্গ যেদিন চিরতরে দেয় পাড়ি
পরিতক্ত এই বাসাটার পায় না খুঁজে কেউ নাড়ি।
  পালকি চড়ে শ্মশানযাত্রা অগ্নিশিখায় স্বর্গলাভ
চিতার আগুন নিভিয়ে দিয়ে স্বজন বন্ধু যায় বাড়ি।


                        একশো দুই


    মানবরক্তে মৃত্তিকা লাল কতদিনে থামবে রণ
    কপট অভিসন্ধি তোমার বন্ধ করো আগ্রাসন।
মানবজাতির মধ্যে বিভেদ মরমি মন পাই কোথায়
      মুহুর্মুহু রকেটহানায় বিপর্যস্ত এই জীবন।


                       একশো তিন


  শূন্য গেলাস হাতে ধরা একটু নজর দাও সাকি
  কেন তুমি করছ এমন, করো না আর চালাকি।
ওই তো পাশে মজুত আছে ফুরিয়ে তো যায়নি সব
   ভর্তি কর গেলাস আমার বিভাবরী ঢের বাকি।


                        একশো চার


দিনের আলো ফুরিয়ে এলো আকাশে তাই রঙিন ছাপ
  ক্ষণেক পরেই নিভবে বাতি একটুও নেই মনস্তাপ।
তোমার ডাকে সাড়া দিয়েই পৌঁছে গেছি নদীর ঘাট
  গুনে গুনে নামছি নীচে এখনো তো অনেক ধাপ।