.                   একশো তেত্রিশ


   বাড়ির কাছে কংসাবতী আসে দোয়েল খঞ্জনা
সাঁতার কাটে, মাছ ধরে রোজ ছাঁকনিজালে রঞ্জনা।
জানলা দিয়ে সব দেখা যায় নাচবে চরে আনন্দে
হাতের তুলি হাতেই থাকে মন হয়ে যায় উন্মনা।


                  একশো চৌত্রিশ


   প্রভাত হলেই গুনগুন-গুন ফুলে ফুলে গুঞ্জরন
     কুসুম তৃপ্ত, তৃপ্ত ভ্রমর দুই তরফের সমর্পণ।
পরাগমিলন ফুল-ফল-বীজ ঘটছে এমন নিরন্তর
      প্রাণীজগৎ উদ্ভিদেরও চক্রাকারে আবর্তন।


                   একশো পঁয়ত্রিশ


আজই প্রথম দিলে দেখা নাকি আমার দেখার ভুল
পলকবিহীন দুচোখ আমার অঙ্গে তোমার নীল দুকূল।
  ওই ছবিটাই ভাসছে চোখে প্রফুল্ল তাই আমার মন
তোমায় দেবো বলেই হাতে রেখেছিলাম গোলাপ ফুল।


                     একশো ছত্রিশ

দাদরাতে নয় কাহারবাতেই মিলে গেল নাচের তাল
নাচের তালে অঙ্গ দোলে যন্ত্রীরা দেয় ঠিক সামাল।
দোলাচ্ছি ঘাড় দিচ্ছি তালি গেলাসভরা লাল তরল
  নৃত্যশৈলী জুড়ায় পরান পান করেও নয় মাতাল।


                 © অজিত কুমার কর