.                    একশো একচল্লিশ


শিকলটা যে ভাঙতে হবেই ঠোঁটেই কাট খাঁচার তার
   দম হারালে চলবে কেন আঘাত হান বারংবার।
শিকল-ভাঙার গান শোনোনি ও গান জোগায় শক্তি বল
  আবার তুমি মিলবে ডানা ভেঙে কারার রুদ্ধ দ্বার।


                   একশো বিয়াল্লিশ


অবিনশ্বর কাজি নজরুল বঙ্গমাতার সুসন্তান
সঞ্জীবনী মন্ত্র গানে যশেও ভাসবে এ সাম্পান।
পাষাণেও প্রাণসঞ্চার শুনলে কবির মধুর স্বর
অনাদিকাল রইবে বেঁচে কবিতা ও কবির গান।


                  একশো তেতাল্লিশ


গোলাপ আছে অলিও আছে মনের মানুষ তেমন কই
   কুসুমকলি ভাবছে বসে একা একা কেমনে রই।
   কাঁটাকে ভয় পেয়ে যদি ভ্রমর দূরে দূরেই রয়ে
   অবসাদে কাটবে প্রহর বল কী করি এখন সই।


                  একশো চুয়াল্লিশ


সামনে শুধু হাওয়ার বেড়া ছাদে বাজে কার নূপুর!
   ঝিরিঝিরি টাপুর-টুপুর এখন সময় ভরদুপুর।
আমিও তো ভিজে ভিজে নাচতে পারি ওর সাথে
তফাৎ মাত্র কয়েক মিটার তবুও যেন বহুত দূর।


                 © অজিত কুমার কর