. একশো তিপ্পান্ন
কোথায় যে নেই সেটাই ভাবি সবার ভিতর অধিষ্ঠান
পাহাড় শীর্ষে, গহিন বনে আওয়াজ শুনি পাতলে কান।
কৃষিকাজে ব্যস্ত তখন প্রবল তেষ্টা কোথায় জল?
হঠাৎ একটি কাজলা মেয়ে বাঁচিয়ে দিল আমার প্রাণ।
একশো চুয়ান্ন
সারাদিনের খাটুনিতে ক্লান্ত দেহ, অবশ মন
ঘরের দাওয়ায় তন্দ্রাচ্ছন্ন কোথায় এলাম, বৃন্দাবন!
গোপীনাথের হাতে বাঁশি রুমঝুম-ঝুম কার নুপুর?
লেহেঙ্গাতে গোপিনীদের সুরের টানে নাচ তখন।
একশো পঞ্চান্ন
আকাশে মেঘ জমলে দেখি পেখম মেলে মনময়ূর
হাতে শরাব পাশে সাকি রামধনু-রং হৃদয়পুর।
চাতক পাখির কাতর কান্না পিপাসা তাঁর মিটলো না
গোমড়ামুখী মেঘবালিকার হয়নি বাঁধা পা'র নূপুর।
একশো ছাপ্পান্ন
বিপদ এলে আড়াল থেকে বাড়াও তুমি দরাজ হাত
সহজে ওই সৌম্যমূর্তি যায় না দেখা তৎক্ষণাৎ।
বিপদগ্রস্ত পায় পরিত্রাণ, সবিস্ময়ে হতবাক
কে বাঁচালো, কোথায় তিনি বন্ধ হয় না অশ্রুপাত।
© অজিত কুমার কর