. রুবাইয়াৎ-ই-অজিত কুমার ৪৮
একশো উননব্বই
ঈশ্বরের রূপ এক না অনেক কে দেবে এর সদুত্তর
সর্বক্ষেত্রে তাঁর অধিষ্ঠান জীব ও জড় দুইই ঘর।
প্রেমের পরাগ, বিষের থলি একই অঙ্গে রয় মজুত
প্রয়োগ করে কেবলই জীব দেখে বিশ্বচরাচর।
একশো নব্বই
পুঞ্জমেঘের আড়াল থেকে অষ্টাদশী যেই হাসে
শিরায় শিরায় অনুরণন তখন আমি পাই পাশে।
যদিও ক্ষণেক আঁধার দেখি বুঝেই মারে ফের ঝিলিক
আমার করুণ দশা দেখে ফেটে পড়ে উল্লাসে।
একশো একানব্বই
রাতজাগা এই পাখির ভালে দিলে যখন মিষ্টি চুম
আমি ছাড়া সবার চোখে জড়িয়ে আছে তখন ঘুম।
নয়ন মেলে চেয়ে দেখি তোমার মনোহরণ রূপ
লক্ষ্মীপেঁচা উঠল ডেকে পল্লীজুড়ে রাত নিঝুম।
একশো বিরানব্বই
মুখের ভাষায় দিইনি আমল চোখের ভাষায় খেই হারাই
প্রবল স্রোতে ভেসে গেলাম গহিন গাঙে কূল না পাই।
ঘূর্ণিপাকে যাচ্ছি ডুবে বাড়িয়ে দিলে লম্বা হাত
বুঝিয়ে দিলে কী গুরুত্ব অবিলম্বে শিক্ষা পাই।
© অজিত কুমার কর