. রুবাইয়াৎ-ই-অজিত কুমার ৬২
দুশো পঁয়তাল্লিশ
এই পেয়ালা নিসর্গীয় বাতাস দিয়ে নির্মিত
পেয়ালাতে ভর্তি শরাব চুমুক দিতে নয় ভীত।
খালি হলেই ভরেন যিনি তিনি আমার প্রাণের প্রাণ
আমার অতি আস্থাভাজন পান করি রোজ অমৃত।
দুশো ছেচল্লিশ
যতই তুমি রও-না দূরে তবুও তোমার পরশ পাই
ফুলেভরা কদম্বগাছ দেখে আমি মন ভরাই।
বাতাসে পাই মধুর গন্ধ তোমার পোঁতা এই সে গাছ
ঝুরুঝুরু কদমকেশর মুঠো মুঠো রোজ কুড়াই।
দুশো সাতচল্লিশ
প্রস্ফুটিত শালুক দিলে বিনুনিতে পড়ত টান
বিনিময়ে শুনিয়ে দিতাম কিশোরপ্রেমের একটি গান।
তোমার খুশি বাঁধনহারা আজও চোখে দেয় ঝিলিক
সেদিনগুলো ফিরে পেতে মনোবীণায় সূক্ষ্ম টান।
দুশো আটচল্লিশ
একগোছা ফুল হাতে পেয়ে ভরে গেল আমার মন
বাড়তি পেলাম মেঘকন্যার রাঙা ঠোঁটের সু-চুম্বন।
ঝিরিঝিরি টাপুর-টুপুর আষাঢ় মাসের পয়লা আজ
বৃষ্টিভেজা কদমকলির গোছায় আত্মসমর্পণ।
© অজিত কুমার কর