.           রুবাইয়াৎ-ই-অজিতকুমার ৬৪


                      দুশো তিপ্পান্ন


সুখের আশায় বেঁধেছিলাম তোমার সাথে গাঁটছড়া
   প্রাপ্তির ঘর শূন্য আমার জলবিহনে সব চড়া।
ছিঁড়তে গেলেও বিষম বাধা মনবিহঙ্গ দেয় না সায়
ছাদনাতলায় যাবি ক'বার ধমকানি খাই বেশ কড়া।


                      দুশো চুয়ান্ন


লোকচক্ষুর আড়াল হলেই কে বলে সব হারিয়ে যায়
    ভেসে বেড়ায় মনআকাশে সুবাসিত স্নিগ্ধতায়।
  মনক্যামেরায় ধরা থাকে মলিন হয় না সেই ছবি
  আপন করে পেতে চাইলে হাজির হবে মনবেলায়।


                      দুশো পঞ্চান্ন


এমন কোনও লোক পাবে না যার ঘরে নেই যন্ত্রণা
    সুখ-দুঃখ সহোদর ভাই চলে ওদের মন্ত্রণা।
    সারাজীবন একসাথে রয় কতই ওরা মরমি
   সেবা দিয়েই অর্জিত হয় মহাপুণ্য এক কণা।


                       দুশো ছাপান্ন


হিজল দিয়ে প্রেম নিবেদন গ্রামবাংলার এক বালা
ভুলিনি সেই দিনের কথা আজও তাজা সেই মালা।
   কীভাবে ও' জেনেছিল হিজল আমার খুব প্রিয়
অমূল্য ধন, ওই কিশোরীর ভালোবাসা প্রাণঢালা।


               © অজিত কুমার কর