.            রুবাইয়াৎ-ই-অজিত কুমার ৯৬


                      তিনশো একাশি


   জল টলটল দুচোখ যেন মহাসাগর হারাই দিক
বিহ্বল আমি কী যে করি পারছি না তা করতে ঠিক।
কীসের জন্য দুঃখ এত বল-না আমায় শুনতে চাই
  সব দায়ভার দে সঁপে দে সাকি খুবই আন্তরিক।


                       তিনশো বিরাশি


ঘরামির ঘর কানা হবেই এযাবতকাল এই নিদান
লঙ্ঘন কে করবে এখন উপরওয়ালার এই বিধান।
তাই রাজারা প্রাসাদে রয় রাজমিস্ত্রির নেইকো ঘর
      ঘটনাটা সবাই জানি করবে কে এর সমাধান।


                       তিনশো তিরাশি

মন উসখুস কখন যাবে জ্যোৎস্নারাতে অভিসার
  রাইকিশোরী যমুনাতে বাতাস দিল বার্তা তাঁর।
     পদধ্বনি শুনতে পেয়ে করজোড়ে সম্ভাষণ
গাছের মাথায় চাঁদ লেগেছে খুলে গেল হৃদয়দ্বার।


                     তিনশো চুরাশি


ন্যায়-অন্যায় বোধটুকু নেই কাটবে কবে এই খরা
    স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যস্ত যৌবনেও গ্রাস জরা।
     অধঃপতন তাই সমাজের তলানিতে মমত্ব
  আকাশ বাতাস সংকটে তাই প্রকৃতিও মনমরা।
                
                 © অজিত কুমার কর