আয়ের উৎস একটি ধেনু
অভাব এদের জীবনসাথি
কষ্টে কাটায় মা ও বেণু।
সামনে এবার নিকষ রাতি
গাভীর বয়স এখন কুড়ি
জ্বলবে না আর সাঁঝের বাতি।
ঘটি বাটি নেইকো চুড়ি
বেচে দিলে মিলবে টাকা
দুধ দেবে না গাভী বুড়ি।
ছুটছে গাড়ি ঘুরছে চাকা
ঘুরে ঘুরে খুঁজছে ক্রেতা
রাস্তাগুলো বড়ই ফাঁকা।
খদ্দের নেই কিনবে কে তা
কিনব আমিই তোমার গরু
ডাকছে বুড়ো, 'ও বিক্রেতা'।
আকাশ ছোঁবে বিশাল তরু
নেইকো টাকা দিচ্ছি বিচি
রইবে না আর হৃদয় মরু।
মায়ের সাথে কিচিমিচি
এ নয় মা গো জুয়াখেলা
করো না মা এমন ছি ছি।
পুতলো বিচি সন্ধ্যাবেলা
নিদ্রা গেল চিন্তা নিয়ে
উঠে দেখে পত্র মেলা।
উঠলো গাছে তরতরিয়ে
অবাক বেণু প্রাসাদ দেখে
বিশাল ঘরে ঢুকলো গিয়ে।
মধুর কন্ঠ ওখানে কে?
সামনে দেখে সুশ্রী পরি
জলদি পালাও এখান থেকে।
দোহাই তোমার মরি মরি
খাদ্য বস্ত্র নেইকো ঘরে
অনন্যোপায় কী যে করি।
লুকিয়ে যাও ওই ওখানে
দৈত্য এবার এসে যাবে
শব্দ যেন না যায় কানে।
এসেই দৈত্য পেট ভরাবে
তৈরি রাখি রাগে পাছে
খাবার পরে নিদ্রা যাবে।
ঘুমিয়ে গেলে যাবে কাছে
খাটের তলায় সোনা দানা
দেখতে পাবে গর্তে আছে।
গর্জনে নাক ডাকছে টানা
মোহর গুলো ব্যাগে ভরে
পরির দয়ায় পথ তো জানা।
জানলা থেকে ডালটা ধরে
গাছ বেয়ে সে নামলো নীচে
পৌঁছে গেল নিজের ঘরে।
দেখলে তো মা কেমন বিচে
বলেনি সেই বৃদ্ধ মিছে।
(রূপকথার গল্প দা ম্যাজিক সীডস' অবলম্বনে লেখা)