করেনি কারও তো হানি-
তবুও বিধাতা করেছ হরণ কবির মুখের বাণী
শঙ্কিত ওরা লেখনীর ঝাঁঝে নিদ্রা কেড়েছে জানি।
আজীবন দুখু পেয়েছে কষ্ট বাল্যে পিতৃহীন
অভাবক্লিষ্ট পরিবার তার ব্যয় বেশি আয় ক্ষীণ।


রোজগারে তাকে নামতে হয়েছে ন’বছর বয়সেই
যে সময় শিশু পাঠশালে যায় স্বাভাবিক নিয়মেই।
লিখেছ কবিতা দীনতার টানে যাত্রাদলের গান
সেখানেও তার কতনা সুনাম ওটুকু তোমারই দান।


‘বিদ্রোহী’ শুনে স্নেহালিঙ্গনে বদ্ধ তরুণ কবি
তারিফ করেছে অকুণ্ঠচিতে অগ্রজ কবি রবি।
কবিতা তো নয় আগুনের গোলা পুড়িয়ে করবে খাক
শিয়রে শমন ত্রস্ত শাসক প্রলয় ঘূর্ণিপাক।


প্রমাণিত হল ফের একবার মসি কত ক্ষুরধার
হাজতে পাঠাল শাসনযন্ত্র লেখনী থামেনি তার।
সাম্যবাদের বার্তাবাহক নির্ভীক উঁচু শির
সমমর্যাদা পুরুষ রমণী হানল শানিত তির।


যতকিছু দোষ সবটা নারীর এমন কখনও হয়
সমদোষে দোষী পুরুষপ্রবর অসত্য কভু নয়।
কুলটা অসতী তকমা সাঁটা এ কি নয় অবিচার
আপন শরীরে দগদগে ক্ষত পড়েনি চক্ষে তার!


নারীলাঞ্ছনা অহরহ ঘটে আজো এই ধরণিতে
আর কবে হবে ওরা  নিরাপদ পার কি জবাব দিতে।
বিভেদের বিষ অন্তর হ’তে দূরীভূত হবে যবে
পুরুষ রমণী সহাবস্থানে স্বর্গ রচিত হবে।