আসফাকুরের ফুলবাগিচায় চিত্ত জুড়ায় অযুত প্রাণ
নিত্যনতুন কত ভ্রমর গুনগুনিয়ে শোনায় গান।
বাংলাদেশে মিলনমেলা জমল ভালোই নেইকো খুঁত
এপারেও মিলল সেদিন ভবিষ্যতের অগ্রদূত।


খবর পেলাম মিলবে আবার জুলাই মাসের আট তারিখ
দোলাচলের মধ্যে আছি উপস্থিতির নেইকো ঠিক।
স্বপ্ন দেখি পৌঁছে গেছি বসেছে এক চাঁদের হাট
ঝকঝকে সব মুখের সারি চলছে দারুণ কাব্যপাঠ।


নীচু স্বরে বলছি কথা আবেগভরা উষ্ণতায়
আমার মতো অন্যরাও কেউই বসে নেইকো ঠায়।
পীযূষ কবির কণ্ঠ হতে পড়ল ঝরে অমৃত
উৎসারিত কাব্যিকতা বিশ্বজুড়ে নন্দিত।


এল যখন আমার পালা কোনটা পড়ি ভাবছি তাই
‘মোমবাতি নয় আওয়াজ তোলো’ আসামীদের শাস্তি চাই।
পড়ার সময় কপোল বেয়ে পড়ল ঝরে অশ্রুজল
আর কোনোদিন বাজবে নাকো আদরিণীর পায়ের মল।


শ্রদ্ধা জানাই আত্মাকে তার এক মিনিটের মৌনতায়
প্রতিবাদের উঠুক তুফান মানুষের কি নেইকো দায়!
নীরব থাকার নয়কো সময় লক্ষ কণ্ঠে হও সরব
বিশ্বমাতার নয়নে জল ঝাঁপাই এসো আমরা সব।


আমার মতো দীন এক কবি ঠাঁই পেয়েছে এই সভায়
কাব্যিকতার কী বা বুঝি মাঝদরিয়ায় দুলছি না’য়।
এখনও তো শিক্ষানবিশ সবার কাছে শিখছি রোজ
মাউস টিপে জালের ভিতর করছি আমি গুরুর খোঁজ।


একটা সেতু খুব জরুরি ঘুচবে তবেই এই তফাৎ
আমরা যাব আসবে ওরা লক্ষ চোখের দৃষ্টিপাত।
পরস্পরের মধ্যে যেন বিরাজ করে প্রীতির টান
আমরা সবাই বাংলাভাষী উত্তরণের এই সোপান।