মহাবিস্ময় স্টিফেন হকিং প্রত্যয়ী সুস্থির
অসামান্য প্রতিভাধর প্রজ্ঞাতে গম্ভীর।
এভারেস্টের শীর্ষ যেমন গগন-স্পর্শ চায়
হকিং নামক অগ্নিশিখা তেমনি ঊর্ধ্বে ধায়।


প্রেরণা তাঁর রুগ্ন শিশু হার না-মানা জেদ
লিউকোমিয়ায় বিপর্যস্ত প্রত্যাশা দুর্ভেদ।
মুহুর্মুহু উঠছে ভেসে ওই শিশুটির মুখ
অতলস্পর্শ দূরদৃষ্টি জোগায় অভিমুখ।


বাঁচার রসদ অন্তরে তাঁর অফুরান ভাণ্ডার
বজ্রকঠিন মনোবলই সরায় অন্ধকার।
সূর্যসম প্রখর দীপ্তি প্রচণ্ড তাঁর তেজ
এএলএস’ও পরাভূত হুইলচেয়ার সেজ।


হাস্যমুখে নিরবকাশ কর্মেতে সক্ষম
নতূন নতুন উদ্ভাবনে ব্যস্ততা চরম।
বিশ্বমাঝে এমন কৃতি আছে বা ক’জন
স্থবিরতায় মহাজ্ঞানীর চিন্তা অনুক্ষণ।


গ্যালিলিওর বিদায় দিনে ধরায় আবির্ভাব
আইনস্টাইন এলেন যেদিন সেদিন তিরোভাব।
স্মরণ করবে বিশ্ববাসী অফুরন্ত কাল
সূর্যসম তোমার বিভায় ভুবন লালে লাল।


জানি না কে করবে পূরণ তোমার শূন্যস্থান
ভাবীকালই বলবে সেটা কোথায় অধিষ্ঠান।
অগ্রগমন যায়নি থেমে চলছে নিরন্তর
সমাধানের রাস্তা দেখায় অভ্রভেদী শর।