আকাশ তখন কাজল মেঘে ঢাকা
লাঙল কাঁধে ফিরছি আমি ঘরে
বলদ দুটি হাঁটছে গুটিগুটি
ফুটিফাটা মেঠো পথটি ধরে।
আরও যারা ব্যস্ত ছিল মাঠে
ত্রস্ত পায়ে তারাও ফিরছে বাটে
মা জননী পথের পানে চেয়ে
দেখতে পেয়ে মনটি গেল ভরে।
গুমোট ভারী নামবে বুঝি ধারা
গাছের পাতা কইছে নাকো কথা
জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রখর রৌদ্রতাপে
কোমল প্রাণে লাগে বিষম ব্যথা।
বিজলি চমক মেঘের গুরুগুরু
মুশলধারে বৃষ্টি হল শুরু
বৃষ্টিভেজা দমকা হাওয়া গায়ে
প্রাণ ফিরে পায় গুল্ম-তরু-লতা।
চাটায় বসে ভাবছি আপন মনে
চাষের কাজে আসবে এবার গতি
পাতের পাশে বসল পাখা হাতে
‘দিনে দিনে কমছে চোখের জ্যোতি;
সারাটা দিন একলা থাকি ঘরে
বলবি না আর ক’রব বিয়ে পরে
এই আষাঢ়েই দেবোই আমি বিয়ে
শুভশ্রী খুবশান্ত গুণবতী।’
তাকাই আমি মায়ের মুখপানে
‘তোমার কথা মান্য করাই ব্রত
শুনেই মায়ের আনন্দ না ধরে
সকল দুঃখ আমার অবগত।’
চাষের কাজে ব্যস্ত খুবই আমি
গৃহশান্তি সবার চেয়ে দামী
শুভশ্রী মা খোশমেজাজে আছে
উধাও হ'ল মায়ের বুকের ক্ষত।