কাশিজোড়ার রাজার বাড়ি কোথায় আমি জানি
সুন্দরী এক কন্যা আছে ভীষণ অভিমানী।
আমার সাথে ভাব হয়েছে বকুলদিঘির ঘাটে
আমার মতো সেও দেখি দারুণ সাঁতার কাটে।


‘কী করে তুই জানলি খোকা, কখন ঘাটে গেলি?’
‘স্বপ্নে আমি দেখেছি মা, পরনে লাল চেলি।
সন্ধেবেলা মাঠে আসে দুখানা ব্যাট নিয়ে
ওর আহ্বানে ঠিক তখনি পৌঁছি সেথায় গিয়ে।


ছোটোখাটো নয় মা মোটে সাতমহলা বাড়ি
আস্তাবলের পাশেই থাকে রাজার জুড়িগাড়ি।
দেয়ালজুড়ে সোনালি রং কত চিত্র আঁকা
চিক লাগানো অন্দরমহল বাহিরমহল ফাঁকা।


রোজ বিকেলে বেড়ায় রানি সঙ্গে থাকে মেয়ে
টগবগিয়ে ছোটে ঘোড়া তখন দেখি চেয়ে।
ইশারাতে বলল আমায় গাড়ির কাছে যেতে
একটুখানি সঙ্গ দিতে আনন্দে রয় মেতে।


কাজলকালো চুলের রাশি শুকোয় যখন রোদে
রানিমা ঠিক ব্যস্ত তখন উদ্যানে প্রমোদে।
গান শোনাবার জন্য আমায় ডাকবে কত সেধে’
‘ভয় কেন পাস, আয় এখানে রাখবো না রে বেঁধে।’


‘মেঘের কোলে রোদ হেসেছে বাদল গেছে টুটি’
মা আমারে ডাকল যেন এবার তবে উঠি।
আমি ছাড়া কেউ জানে না থাকে সে কোনখানে
গান শোনাতে যাব কখন রাজকন্যা তা জানে।