প্রিয়া – মিলল কাজের স্বীকৃতি
       আনন্দে আজ গাও গীতি।
              উৎসাহ পাই
              এগিয়ে যাই
        কেটেই গেল ভয়ভীতি।


প্রিয় – স্বচ্ছতাকে দিচ্ছি জোর
    বোঝালে ঠিক কাটবে ঘোর।
               শৌচকর্ম
               শরীরধর্ম
       শৌচালয়ের বন্ধ দোর।


প্রিয়া – শুনছে লোকে মন দিয়ে
         জানায় সবে ঘর গিয়ে।
              মানল সবাই
            এটাই তো চাই
          সুস্থ র’ব মান নিয়ে।


প্রিয় – ছেলেমেয়ের তফাৎ নাই
       বাঁচতে গেলে দুটোই চাই।
              নইলে বিপদ
              শুকোবে নদ
      ধারণ করে স্ত্রীলোক, তাই।


প্রিয়া – শিক্ষা আনে চেতনা
       কাটায় মনের বেদনা।
            মানবমাঝে
           তাই বিরাজে
      অতি সূক্ষ্ম বোধ-কণা।


প্রিয় – শহর থেকে এল ডাক
      ক্ষণেক বোবা নেইকো বাক।
               কী আনন্দ
               নতুন ছন্দ
      দেখতে এসে লাগল তাক।


প্রিয়া – ‘বৃক্ষসখা’ দুজনকেই
       মাতল সবাই শুনল যেই।
             কোমর দোলে
             ঢোলের বোলে
       উল্লাসে নাচ ধেইনা ধেই।


প্রিয় – সঠিক দিনে যাই দুজন
        কী অপরূপ এই ভুবন!
               হস্তে থালি
              প্রদীপ জ্বালি
         পুরস্কারে ভ’রল মন।


প্রিয়া – ফিরে দেখি নতুন সাজ
        ক’রল কারা এমন কাজ!
                বরণডালা  
              ফুলের মালা
      হারিয়ে গেলাম ওদের মাঝ।


প্রিয় – চিত্তে এ কী আকুতি
       কর্মে ধর্মে নেই চ্যুতি।
              সার্থকতা
              মানবতা
        চতুর্দিকে কী দ্যুতি!