*
তপনের তাপ হার মেনেছে হিমশীতল দেশে
শূন্য ডিগ্রির অনেক নীচে, ভুবন শুভ্র বেশে।
            সূর্যকিরণ ঠিকরে পড়ে
            বর্ণালীতে নকশা গড়ে
তপ্ত জলের ফোয়ারাটি জমবে হেসে হেসে
কী অপূর্ব লাগে তখন আবার ভূঁয়ে মেশে।


এমন দৃশ্য দেখার ভাগ্য কার কপালে জোটে!
কল্পনাতে ভাবতে পারি মন তো দারুণ ছোটে।
            লেহ লাদাখে শীতে গেলে
             সমতলকে পিছে ফেলে
নিজেই সৃষ্টি করতে পারি পুষ্প যেমন ফোটে
এক পলকে জমে কঠিন অবাক হই না মোটে।


   মনের ভিতর জমা ছিল গোপন ইচ্ছাটুকু
ভাবছি কবে সুযোগ আসে কোয়েল ডাকে কুকু।
           সময় ছোটে আপন বেগে
            জমাট ইচ্ছা উঠল জেগে
    খবর দিলাম সুরভিকে সঙ্গে যাবে খুকু
এক-পা তুলে দাঁড়িয়ে ছিল রিম্পা বিভাস সুকু।


এভারেস্টের পাদদেশে গেলাম ক'জন মিলে
খবর পেলাম পড়ছে তুষার ওদিকে কারগিলে।
           ফ্লাস্কে নিলাম গরম পানি
              চাদর ঢাকা অঙ্গখানি
    রবি তখন মাঝ গগনে শুভ্র চাদর ঝিলে
ফ্লাস্ক থেকে জল যেই ছুঁড়েছি অপূর্ব ঝিলিমিলে।


   হৃদয় আমার উঠল ভরে এমন দৃশ্য দেখে
ফিরে এলাম আমরা সবাই খুশির আবির মেখে।
             রইবে আঁকা মনমুকুরে
            সারা জীবন রাখবো ধরে
কোন কাননে সে এক কবি কাব্য করে লেখে
  প্রকৃতি মা সবার গুরু তার কাছে সব শেখে।