রাতের আঁধার ঢাকা পড়ে
বাঁধ ভাঙা জোছনায়
নবযৌবনা বড় চঞ্চল
অর্কেস্ট্রার মুর্ছনায়।
গঙ্গায় জোয়ার
আজ অভিষেক
আলোকোজ্জ্বল তনু তার।
আপনজন সেখানে।
কে নেই--
প্রাণাধিক প্রিয় দেবর, বিদ্বজ্জন
সালঙ্কারা মোহময়ী রুপসি
আরও অনেকেই।
অনতিদূরে অধীর প্রতীক্ষায়
নিজ কক্ষে
অসহ্য উৎকণ্ঠা নিয়ে বক্ষে।
এই বুঝি কড়া নড়ে দরজার
ডাকে ‘এসো, যান প্রস্তুত’
খাড়া কান তার।
রাত্রি গভীর হয়
শহরের চঞ্চলতা কমে
কুহকিনী আশা গুমরায়
অভিমান জমে।
‘আমার এ নীলাম্বরী বেশ
দেখল কেবল দেয়ালে টাঙানো
ওই ছবি আর চাঁদ
বাতাস যেন বলে ওঠে
পাখি গেছে উড়ে
কেটে ফাঁদ।
ছবিটা টান মেরে দিল ছুঁড়ে
ক্ষতবিক্ষত হ’ল দুটি পা
আঁকা হ’ল আলপনা
সারা মেঝে জুড়ে।
নাগালে চিরশান্তির
অমৃতভাণ্ডার
ফুরিয়েছে প্রয়োজন
বাঁচার।