হিলহিলে সবুজের বনে,
অথবা গভীর জলের ছায়ায়,
কিংবা অনন্ত মহাশূন্যের গর্ভে,
সরীসৃপের মতো হামাগুড়ি দিয়ে
দন্ডি কাটি_
তীক্ষ্ণ কাঁটায় বিক্ষত রক্তাক্ত
বুক নিংড়ে
সূর্যোদয়ের ছবি আঁকার চেষ্টা করি।
ঊষর মরুভূমির বালি খুঁড়ে
কাদাজল দিয়ে
কবিতার খাতায় আঁক কষি।
বাতাসহীন মহাশূন্যের মাঝে
মিথ্যে অনুরণনে
গান বাঁধার প্রেরণা খুঁজি।
হেরে যাই_বার বার হেরে যাই।
পাহাড়ের পাদদেশে এসে
থমকে দাঁড়াই।
ভয় হয়, দ্বিধা জাগে
উচ্চতাকে জানবার।
ওটা কি শুধুই শান্ত, মৌন পাহাড়!
না কি আগ্নেয়গিরি!
কুঁকড়ে কেঁপে উঠি বিস্ফোরণের
বিভীষিকায় (?)
হারা বা না-হারার দ্বন্দ্বে ভুগি।
আমি কি জিততে চাই (!)
অব্যক্ত যন্ত্রণাকে মুখোসের আড়ালে
লুকিয়ে রেখে যে হাসতে চায়,
আমি তার হাত ধরে
সাম্যের গান গাইতে চাই।
তাকে জেতাতে নিজেকে সোচ্চার করে
বিবেকের কাছে হেরে যেতে চাই
এই মুহূর্তে।