দিনের শেষ আলো নিভে গেছে প্রায়!
নীরব সৈকতে তবু যৌবন আছড়ায় ।
কি ভীষণ করাঘাত ফেনিল উচ্ছাসে ।
প্রেমের বন্ধ দূয়ার ভাঙার বিশ্বাসে।


আমি দিশেহারা চঞ্চল, যখন সন্ধ্যা ঘনায় তীরে।
যেটুকু ছিল কোলাহল, ফিকে হয়ে আসে ধীরে।


এক বালুকা শিল্পী মগ্ন তখনও, সৃজিতে মুরতি ।
বালু-নারীর কপোল কর-স্পর্শে , মোছে অভিমানী ইতি।
সূর্য ডোবার আগে, শেষ বারের মত, রক্তিম চিবুক,
কায়াহীনের অব্যক্ত চঞ্চল প্রেমে যেন উন্মুখ!


স্পষ্ট দেখি যেন...
শিল্পীর সৃষ্ট এক জীবন্ত নারীর,
আরক্ত ঠোঁটে কার নীরব আদর ।


হয়ত গভীর রাতে আসবে জোয়ার।
মুছে দিয়ে যাবে প্রতিভার স্বাক্ষর!
মুছে যাবে শিল্পীর গভীর প্রেম যত।
জীবন সায়াহ্নে হেরে আমারই মতো।


নির্জন সৈকত পড়ে থাকে একা,
অহঙ্কারী সমুদ্রের সান্নিধ্যে...
অমানিশা নামে... তারপর...