একটা মুখ আমি দেখেছিলাম।
কোথায়?  ঠিক মনে পড়ে না।
হয়ত মেঘে মেঘে ঘর্ষণে ,
বিদ্যুতের চমকানিতে।
হয়ত বাতাসের ফিসফিস শব্দে।
জানি না, তার চোখ কেমন-
স্বপ্নে মাখা পেলব না বাস্তব কঠিন!
জানি না তার ঠোঁট কেমন,
প্রেমে কম্পিত না ভাস্কর্যের নীরবতা!


হয়ত বর্ষা মুখর রাতে বৃষ্টির শব্দে
কথা বলা।
হয়ত দখিনা বাতাসের দুরন্তপনায়
মেতে ওঠা।
হয়ত কালবৈশাখীর আগের মুহূর্তে
ঈশান কোণায়।
আজো যেখানে আঁকা হয় সব অভিমান।
তাকে আমি ছুঁইনি কোনোদিন, তবুও ...
অনুভূতি দিয়ে দেখি দুচোখ ভরে।
অনুভবে ঘ্রাণ নিই তার উষ্ণ শরীরের।


যখন কঠিন আঘাতের চার দেওয়াল,
আমার শ্বাস রোধ করার জন্য
এগিয়ে আসে....
আমি আয়নার সামনে এসে দাঁড়াই। দেখতে পাই আমার সজল মুখের ছায়ায় ভেসে ওঠে তার মুখ।


তার চোখেও জল!
ঝাপসা চোখে দেখি আমার সৃষ্টিকে। ভালবাসায় জিইয়ে রাখি সেই আস্বাদন ।
হয়ত সবটাই স্বপ্ন ...
কিংবা হয়তো সত্যি!