মেয়েটির নামের মধ্যেই ছিল
মোহ-মেদুর আকর্ষণ।
রূপে সে ভোলাতো না কারোকে,
তবু মৌমাছির মত ঝাঁকে ঝাঁকে
ভীড় করত বান্ধবের দল।
কিছুদিনের মধ্যেই সেই বন্ধুত্বের
চাহিদা, সীমানা পেরোতে চাইতো।
বারবার আঘাতে ক্ষত বিক্ষত
'মোহিনী' নীরবে কাঁদত
আমার সান্নিধ্যে।
কখনো উচ্চশিক্ষার প্রতিশ্রুতিতে
কফি হাউসে মুখোমুখি,
কখনও ড্রাগ আসক্তকে স্নেহপাশে
মুক্তির সন্ধান-রতা।
কখনো নিছকই সহজাত
উপকারীতার সরল বন্ধুত্ব।


একদিন হলুদ চিঠি এলো
আমার ঠিকানায়।
ভাবলাম, তাদের হয়ত কারোকে...
যাওয়া হয়ে ওঠেনি আর।


অনেক বছর পর...
সেই মোহিনীকে আবিষ্কার করলাম
গঙ্গার ধারে, পোস্তায়।
পুরোনো ঘুপচি বহুতলের চারতলায়।
দুটো দুষ্টু মিষ্টি শিশুর বায়নাক্কা
সামলে, ব্যস্ত পরিপাটি
ঘরকন্নার কাজে।
আমার চোখ ঘুরছিল তার
আনাগোনাকে অনুসরণ করে।
মাঝে মাঝে সামলাতে ব্যস্ত ঘোমটা।
কলেজ - ইউনিভার্সিটি, কফি হাউস,
টিউশন, সারাদিন চরকির মত
ঘোরা স্মার্ট মেয়েটির চলাফেরা
এখন দুটি ঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ।


হাতের কাজ রেখে হঠাৎ....
আমার দু চোখে চোখ রেখে
বলতে হলো তাকে__
আর একটু বোস্ না
কতদিন বাদে দেখা!
আবার কবে....


মোহিনীর চোখের ভেতর দিয়ে
অনেক ভেতরে ঢুকে ছুঁতে
চেষ্টা করলাম বিজিতাকে!!!