ভেসে গেছে শৈশব। ভেসে গেছে কাগজের নৌকো।
দূরবীনে চোখ রাখি। খুঁজি বিন্দু।
চোখের পাওয়ার কমলে, চশমার পাওয়ার বাড়ে!


মনের কোনো চশমা হয়না কেন?


তাহলে হয়তো খুঁজে পাওয়া যেত
সেই খেলাঘর! সেই চিলেকোঠার দুপুর!
উঠোনে জমা বৃষ্টির জল,
সেই জলে ভাসা আদরের নৌকো!
আর একবার...


সারারাত জেগে দেখেছি,
জুঁই আস্তে আস্তে পাপড়ি মেললো।
দেখলাম, শৈশব থেকে তিল তিল করে ভোরের জাগরণ!
মধ্যগগনের সূর্য এসে বলল,
"হারিয়ে যাও জুঁই, এ সূর্য তোমার নয়"।


হারিয়ে গেল নির্মল শৈশব...


পড়ে থাকলো, ভারাক্রান্ত জটিল মধ্যবর্তী সময়;
জীবন তৈরীর পাঠে ব্যস্ত!
পড়ে থাকলো,
খেলা জেতার খেলার ব্যস্ত, খেলার মাঠ!


ক্ষণিকের জন্য স্থান চায় নিটোল শৈশব।
একবার যদি ফিরে যাওয়া যেত কাগজের নৌকোয়,
মাঝিহীন দিশা ভেসে যেতো অজানায়!