আজও মনুষ্যত্বের অবমাননার
দায় নিতে হয় তোমাকেই!
একা! কেন?
কত যুদ্ধের কারণ শুধু তুমি!
সব দোষ কি তোমার রূপের?
সবার চোখে তবু তুমি অহঙ্কারী!
হ্যাঁ, সত্যিই তুমি অহঙ্কারী।
তাই হওয়াই উচিত!
তুমিই অবক্ষয়ের হাত থেকে
আগলাও মনুষ্যত্বকে।
তুমি এক পটশিল্পী।
এঁকে চলো ধারাবাহিক জীবন কথা,
সমাজ নামে পরিচিত চালচিত্রে।
অঙ্কুরোদ্গম থেকে মহীরুহের...
সবটাই ধীরে ধীরে।
মাতৃত্বের সব ক্লেশ একা বয়ে নিয়ে যাও,
সভ্যতার ধারক ও বাহক ভূমিকায়!
তবুও কাদা লাগে তোমার সম্ভ্রমে!
চরিত্র নিয়ে কাটাছেঁড়া হয়।
আব্রু হনন করে যারা,
তারাই অপবাদে দূরে ঠেলে দেয়।
হাসি মুখে তলিয়ে যাও
কলঙ্কের কলস গলায় বেঁধে।
মানবিক অথবা অমানবিকের,
সুন্দর অথবা অসুন্দরের
তুমি যেন এক নিয়মিত স্রষ্টা!
তোমার শিল্পী স্বত্বা মূল্যহীন হয়ে যায়।
ক্ষয়ে ক্ষয়ে তুমি ক্লান্ত,
তবুও নিঃশেষ হও না।
হতে পারো না।
তোমাকে যে একাই বইতে হবে
অবক্ষয়ের দায়ভার!
হয়তো আগামী দেবে তোমার সম্মান! ভারমুক্ত হবে তুমি।