তার সাথে আমার দূরত্ব, যোজন নাহলেও, কয়েক পল।
সে থাকতো, আমার কবিতা-বাড়ির পথের আড়ে।
একটা সখ্যতা গড়ে উঠেছিল ক্রমে...
সে তারিফ করতো আমার বাড়ির,
বাগানের, কলমের ফুল গাছের ।


কোথা থেকে ক্লান্তি এলো একদিন...
জোর কমে গেল হাতের, মনের।
চোখ ঝাপসা হয়ে গেলো।ঠাওর পাই না।


অবহেলায় ঝরে পড়ল বিবর্ণ ফুল...
খাঁ খাঁ করতে লাগল বাগান, উঠোন, কবিতার বারান্দা।


সে-ও আসেনা অনেক দিন, ব্যস্ত বোধহয়!
আমার অনুভবে একটা শূন্যতা যেন...
পরিচর্যার আছিলায় উপড়ে দিতে গেলাম শুকনো গাছ।
হাতে বিঁধল কাঁটা, থামালো আমায়।


একদিন খুব ভোরে, সোমসূর্য যখন আমায় ছুঁয়ে গেল...
বারান্দায় পা রাখলো সে।
সে-ই প্রথম প্রবেশ।
অধিকার চেয়ে নিলো আমার অলিন্দের।


এবার  শব্দ গুছিয়ে নেবার পালা।