অপরাহ্ন শেষে...
খেটে খাওয়া অবসন্ন শরীর
গৃহকোণ খোঁজে ঝুপড়ির আড়ালে ।
মাথার উপর শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে
এক কৃষ্ণচূড়া।
বসন্তে রাঙা...
ভাত ফুটছে কাঠের আগুনে...
দখিনা বাতাসে ভাতের ধোঁয়া
কাঁপে এঁকে বেঁকে।
খিদের মুখ তাকিয়ে
উতলানো ভাতের দিকে।


শূন্য জঠর বুঝি বসন্ত খোঁজে
ভাতের ফ্যানে...
মনে লাগেনি পলাশের রং।
ফাগুনের কবিতা পড়ে না ওরা।
কুহুরবে মরে না ওদের খিদে।


তবুও ফাগুন আসে!
কোনো এক অসতর্ক মুহূর্তে
বসন্ত জাগে শরীরে...


খোলা আকাশের নীচে
খিদে নিয়ে বসে থাকা মন
উদাস হ'ল কখন...
বসন্ত বাতাসে কাঁপন!
প্রেম মিশে গেল ক্ষুধা-কান্নায়,
শূন্য থালায় পড়ল যখন
একটি রক্তিম কৃষ্ণচূড়া!
অথবা একটি কবিতা!


কেউ জানলো না,
কেউ বুঝলো না...