অনেক বছর তো হ'ল, স্বাধীনতা নিয়ে এত মাতামাতি - মাখামাখি কিসের!
সেই কবে একজন বুক চিতিয়ে
ইংরেজের গুলি খেয়ে মরেছিল ;
কে একজন নেতা হয়ে ' দল' গড়েছিল,
তারপর হারিয়ে গেল।
কে একজন লাঠি হাতে অনেকটা পথ হেঁটেছিল ;
তো, কি হয়েছে?
যখন যেমন পরিস্থিতি!


আর বছরে দুবার মার্চ পাস্ট করে
সেনাদের হাত-পায়ের খিল সারানো!
বন্দুক গুলোয় মরচে পড়ে গেল যে!
একটা যুদ্ধ লাগলে ভালো হতো না?
আবার পরাধীনতা, আবার স্বাধীনতার জন্য লড়াই ;
তবেই না হাড়ে হাড়ে বোঝা যেতো,
"কত ধানে কত চাল"!


'যুদ্ধ নয় শান্তি চাই' বা 'শান্তির জন্য যুদ্ধ চাই _
কোন কথাটা ঠিক, আর কে-ই বা তা বোঝে!
তা না হলে মনে রাগ পুষে না রেখে
চোখ বন্ধ করে বড় বড় বোমা দুটো
দু-দুটো শহরে না ফেললে কি যুদ্ধ থামতো?
ওরা যুদ্ধ করেই নাকি যুদ্ধ থামাতে চেয়েছিল!


আমাদের দেশ যেদিন থেকে স্বাধীন,
সেদিন থেকে 'একশ'দল, নিজেদের মধ্যে
খেয়োখেয়ি করে মরলো।
জাতীয় পতাকা নিয়ে টানাটানি - হেঁচড়াহেঁচড়ি...
'এ' বলে আমার তো 'ও' বলে আমার।


স্বাধীনতা সংগ্রামীদের তপ্ত বিপ্লবকে স্মরণ করে গরম হাওয়া বইয়ে দিচ্ছি!
স্বাধীন ভাবে মানুষের গলার নলি কেটে
'বডি' তে কাগজ সেঁটে দিচ্ছি;
যেন আমরাই 'ভারত- ভাগ্য-বিধাতা'।


স্বাধীনতার একাত্তর বছর পর
আমরা স্বাধীন ভাবে হাঁটতে গেলে
একাত্তর বার হোঁচট খাই।
এমনই দিনে চাকরির ইন্টারভিউ পড়ে,
সেদিনই হয়তো পথ অবরোধ
কিংবা বনধ্
(কারনের বিরাট লিস্ট __থই পাবে না)।
অথবা 'যুদ্ধ নয় শান্তি চাই' _এর বিশাল সর্পিল মিছিলে
মহানগরীর যানবাহন স্থবির!
হোঁচট খেতে খেতে ইন্টারভিউটার সময় পেরিয়ে যায়।
কিংবা অ্যাম্বুলেন্সটা হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই
শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়।


স্বাধীনতাত্তোর স্বাধীনতার জন্য
লড়তে লড়তে
আমরা সন্ত্রাসবাদী হই...


দূর্, হাঁটুতে বড্ড ব্যথা!
শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মনেও তেমন
জোর পাই না, জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে উঠে দাঁড়ানোর।
জাতীয় সঙ্গীত হচ্ছে হোক।
শরীর মন __দুটোতেই মরচে!


ডটকমের যুগে হাতের আঙুলগুলো
কিন্তু অনেক বেশি সচল!
কম্পিউটারের কী-বোর্ডে কিংবা
মোবাইলের বাটনে অনায়াসে
খেলে বেড়ায়।
এস. এম. এস. আসে, এস. এম. এস. যায়।
স্ক্রিনে ফুটে ওঠে রঙিন জাতীয় পতাকা।
মনটা রঙিন হয়ে যায়..
যাদের তাড়িয়ে আজ আমরা স্বাধীন,
সেই তাদেরই ভাষায় স্টিকারের নীচে লেখা হয়,
"হ্যাপি ইণ্ডিপেনডেন্স ডে"!!!