কোনো এক গাঁয়ের বধূ হতাম যদি...
স্বপ্ন ভোরে দুঃখ সুখে
গঙ্গা নয়, পদ্মাও নয়,
বইতো বুকে টইটম্বুর ছোট্ট নদী!


ঘোমটা দিতাম মাথায় তুলে!
দিঘির পাড়ে কলসী কাঁখে,
দেখতে যেতাম অন্যমনে,
কেমন করে ভ্রমর খেলে পদ্মফুলে।


দুপুর বেলায় আখার তাতে...
ধান সেদ্ধর গন্ধ মেখে,
মরাই ভরার স্বপ্ন দেখে,
লঙ্কা মাখতাম পান্তা ভাতে।


সূয্যি যখন যেতো পাটে,
ক্ষেতের বুকে, নদীর ঘাটে,
লিখতো কবি বধূর গাঁথা...
পদ্য কথা বেশ বিকোতো গাঁয়ের হাটে।


সন্ধ্যা হলে শাঁখ বাজাতাম,
উঠোন মাঝে তুলসীতলায়,
প্রদীপ জ্বেলে অন্ধকারে
মনটাকে ঠিক চিনে নিতাম।


পিদিম বুকের তেল ফুরোলে,
কাজের শেষে মাটির ঘরে,
রাত নামতো খোলা বুকে...
নিঃস্ব হতাম জীবন জলে!