***** বছর ঘুরে আসে বাইশে শ্রাবণ।
মানতে মন চায় না কবিগুরু প্রয়াত। তিনি তো বেঁচে আছেন জীবনের সব ওঠা পড়ায়।বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল।


কবির মৃত্যু নেই!
.......................


বিস্তীর্ণ ছায়াপথে জুড়ে
জানা অজানা পৃথিবীতে
কবি বেঁচে থাকে__
মানবতার প্রতিশ্রুতিতে,
ভালবাসার অহঙ্কারে
কবি বাঁচে!
কবির কলমে থাকে মুক্তি!
কবিই দেখায় বাঁচার স্বপ্ন।


কবির অন্তর জুড়ে দুঃখ।
কবির হৃদয়ে সুখ ।
কবিকেই তো সহ্য করতে হয়
ধর্ষিতার কান্না....
প্রতিবাদী হয়ে ওঠে কবি
কলমে কলমে!
শ্রমিক, কৃষকের আন্দোলনে
কবির কলম গর্জে ওঠে!


কবি বেঁচে থাকে
অলি আর গোলাপের
প্রেম-চুম্বনে!
কবিই দ্যাখে___
বাদুড়ের জলন্ত চোখে যেন
কী এক প্রেম!
কালো গভীর রাতের সাথে
পেঁচার সহবাস!


কবিই শুনতে পায়
উদ্দাম তরঙ্গের আড়ালে
একাকী সমুদ্রের
সুনামির আস্ফালন!
কবিকে যে দেখতে হয় __
পূর্ণিমার চাঁদে
ঝলসানো রুটির ক্ষোভ!


বুকের দেওয়ালে
অজস্র লেখার আঁচড়ে
কবিকে বেঁচে থাকতে হয়
কালের শুরু থেকে শেষে
এবং শেষের পরেও!!