তসলিমা রুদ্র্ কে যে চিঠি লিখেছিলেন
আমিও তোমাকে লিখছি
তিনি আকাশের ঠিকানায় চিঠি দিয়েছেন
আমার আকাশ মেঘপূর্ণ
তসলিমার সেক্যুলারিটি যেমন ওপার বাংলার বাতাসে চূর্ণ হয়েছে
আমার চিঠিখানা দূর্যোগ এর বাতাসে তেমন বিচূর্ণ হয়েছে,
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে তার পোস্টমর্টাম দেখতে চাই না।
তসলিমা চোখের জল ভাসিয়েছেন
রুদ্র এর নেলি খালার জন্য লেখা কবিতা দেখে।
এই আমি চোখের জল ভাসাতে পা্রিনি
তবে ক্ষতটুকু ও সারিয়ে তুলতে পারিনি।
তসলিমা কি পেরেছিলেন পুরোটুকু পড়তে?
তসলিমার কি মনে হয়েছিলো পালিয়ে যেতে জগৎ সংসার ছেড়ে বহু দূরে?
নাকি আধাপোড়া সিগারেট এর মতো ব্যথায় পুড়ে ধসে পড়েছিলেন শেষমেষ,
নিশ্চল অক্ষরের দিকে তাকিয়ে কি বলেছিলেন,"এতো ভালবাসতে পারো ?"
তসলিমা বেচেঁ ফিরে আসতে পেরেছিলেন কি?
আমি মরে যাইনি,তাই আশা রাখি উনি বেচেঁ ফিরে আসতে পেরেছেন।
তসলিমা রুদ্রের মৃত্যুর পরে যে চিঠি লিখেছেন
তুমি সেই মৃত্যু পরবর্তী চিঠি লিখেছো
আমিও সেই মৃত্যুর পরেই লিখছি
আমাদের ধীরে ধীরে মারা যাওয়া সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তান
যার নাম তুমি রেখেছিলে, "প্রেম"
আর আমি চিৎকার করে নৄত্য করে বেরিয়েছি তোমার গাওয়া"প্রেম প্রেম প্রেম" গীতিনাট্যের নির্দেশনায়,
সেই প্রেম এর মৃত্যুর পরে।
তুমি কবিতা লিখেছ ভালোবাসতে বলে
আমি চিঠি লিখছি ভালোবাসা পাইনি বলে।
তসলিমা শরৎ এর গল্পের নায়িকা হতে পারতেন,হননি।
আমিও হবোনা।
তিনি চিঠি লিখেছেন, রুদ্রের মৃত্যুর পরে
আমি লিখছি রুদ্রর অপেক্ষায়
পার্বতী যেমন প্রদীপ হাতে দেবদাসের চোখের অপলকে চলে যান।
আমি তেমন প্রদীপ হাতে বিস্তৃতির পথে এগোচ্ছি
সেই প্রদীপ এর আলোয় চিঠি লিখছি,
ঝড়ো বাতাস বইছে,থামছেনা।
চিঠি শেষ হয়েও শেষ হচ্ছেনা।