কাঠগোলাপে আলাপ হলো ভাদ্দরে,
যার পাপড়ি ছিলো পাঁচটি!
বোহেমিয়ান মন রঙ সেচেছে রোদ্দুরে,
বোঝেনি সর্বনাশের আঁচটি!
শরৎ গেল শীতও গেল,
শেষতক সে বসন্ত পেল!
কাঠগোলাপের পাঁচটি মিনার
প্রেম কাব্যের স্তম্ভ হলো, নিনাদিনীর ঝংকার হলো,
প্রেম প্রণয়ের সাক্ষী হলো,স্বপ্ন ভাঙার নিদ্রা হলো।
শেষ বিকেলে হাতড়ে দেখে ফেলে আসা ভ্রমগুলো।
হিসাব কষে কেমন ছিলো ছলে ভরা দিনগুলো!
ঝরা পাতার বইছে হাওয়া, দখিন হতে ঈশান কোণে
এই বুঝি তার গাইতে হবে বেলাশুরুর গান!
শিউলিও আছড়ে পড়ে, কলার ভেলার জলের তলে
ডুবসাঁতারে উপচে পড়ে জৌলুস ভরা তান!
দীর্ঘশ্বাসে ভেসে ওঠে হৃদয় ভাঙার সুর-
সেদিন কাঠগোলাপের পাপড়ি ছিলো পাঁচটি,
বোহেমিয়ান মন বোঝেনি কেন সর্বনাশের আঁচটি?