চড়কবাবুর পুড়ছে দেখো চকচকে ওই টাক খানা,
দিনদুপুরে খুড়োর দেখো কাঁপছে কেমন হাত খানা!


ধুকপুকিয়ে যাচ্ছো কোথায়- এমন কড়া রোদ মাথায়?
বগল তলে না রেখে গো মাথা লুকোও ওই ছাতায়!


মাথায় হাত রেখে বলে- এ্যাঁ- গরম হতে ঢের দেরি!
ততক্ষণে পৌঁছে যাবো নেমন্তন্নের ওই বাড়ি!


পাঞ্জাবীটা বেশ তো চেনা, কোন দোকানের মালখানা?
রং জ্বলে তার ছাই হয়েছে, বেশ পুরনো ভাবখানা!
ঈষৎ লাজে বলল খুড়ো-
বিয়ের পরে শ্বশুরবাড়ী গিয়েছিলাম একবেলা-
গিয়ে দেখি আমার জন্য রাঁধেনি কিছুই,
কেবল একবাটি মাংস, পায়েস, মাছ-মলা!
কি করি না কি করি-
করলাম রেগে নাক বোচা!
ফেরার পথে শ্বশুর মশাই দিলেন এটা সাথে ধুতি মালকোচা।
সে কি আর বেশিদিন আগের কথা!


তা কুটুমবাড়ি যাচ্ছো যদি পা দুটো যে বড্ড খালি!
হেসে বলে-
রেখেছি তুলে,
অযথা কেন লাগাই বালি!


পা পুড়ছে, টাক পুড়ছে, তবুও খুড়ো কোনো দোষ দেখো না !
বলতে কী চাস ব্যাটা নচ্ছার! খুব যে বেশি বাজে বোকো না!
খানিক জিরিয়ে বলল হেসে-
খকখক করে একটু কেশে-
দুচারখানা ব্যাগও আমি নিয়েছি সটান ভাঁজ করে
দুতিনদিনের খাবার-পাতি আনতে হবে সব ভরে!
দিনকাল যা হয়েছে এখন একটু চালাক না হলে হয়?
তোমার মতো বিচ্চুদেরই দেখলে আমার লাগে ভয়!


বললাম হেসে, অবশেষে-
কিপটে বুড়ো মরবে যেদিন কী কী নিবে তোমার সাথে?
ভেঙচি কেটে বলল বুড়ো-
ফর্দ করে রেখেছি আমি, কষ্ট আমার না হয় যাতে!


হায়রে বুড়ো একাই যাবে, থাকবে না সাথে কিচ্ছুটি!
সেদিন তোমায় কাঁধে নিবে আমার মতোই বিচ্ছুটি।