বালক গদাধর চায় না আর খেলার পুতুল
তিন ভুবনের পারে গড়েছে অপুর সংসার;
শেষ প্রহরে নতুন দিনের আলো’য় হঠাৎ দেখা
নিশিকন্যা অপর্ণাকে দিয়েছিল স্ত্রী’র অঙ্গীকার।
দেবী’র সাথে সাত পাকে বাঁধা’য় সমাপ্তি তিনকন্যা’র,
যদিও জোড়া দিঘির চৌধুরী পরিবার চেয়েছিল স্বয়ম্বরা;
সংসার সীমান্তে বাঘিনীর সাথে বেঁধেছিল একটুকু বাসা
আকাশ কুসুম ভাব জমাতো সাঁঝবাতির রূপকথারা;
তাহাদের কথা ঘরে বাইরে মেলেছে শাখাপ্রশাখা
প্রথম কদম ফুল’র মাল্যদানে সঙ্গিনী হয়েছে পরিণীতা,
কত অপবাদ মাখে তার ললাটে ক্ষুধিত পাষাণ যেন
কাপুরুষ, ফালতু, দেবদাস, কিংবা অসতী চারুলতা!
একই অঙ্গে এতো রুপ যেন মনিহারে কাঁচ কাটা হীরে,
বর্ণালী আগুন আলেয়ার আলো দেখায় শেষ প্রহরে;
যদি জানতেম মহাপৃথিবীর পদ্ম গোলাপ এমন অসতী
আবার অরণ্যে নিশিযাপনে উত্তরণের গাইত অমর গীতি;
খুঁজে বেড়াই’ত না হীরক রাজার দেশে দেবদাস হয়ে
গণদেবতার সোনার কেল্লা বানাতো  প্রস্তর স্বাক্ষর দিয়ে;
বসন্ত বিলাপে বেলাশেষে গান ধরতো জয় বাবা ফেলুনাথ!
গানে গানে কইতো মহারাজা তোমারে সেলাম, সেলাম, সেলাম;


মহানায়ক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়ানে তাঁর প্রতি ট্রিবিউট জানাতে তাঁর অভিনিত বিভিন্ন সিনেমার নামে লেখার চেষ্টা করলাম “মহারাজা তোমারে সালাম”