হে নবকুমার, তোমারে হেরিতে যে
বেদেনী কাটায় শত সহস্র বিনিদ্র রজনী,
তাহারে কভু খুঁজিবার প্রয়াসের
খায়েস জাগিয়াছে কি তোমার মনবৃন্তে?
শুধু তোমার মঙ্গল কামনায় যে
রমনী ব্রত রাখিয়া অভুক্ত থাকিছে দিনের পর দিন,
তাহার ক্ষুদা নিবারণে একবারও কি
ঈপ্সার উদয় ঘটেনি তোমার অশ্ম-অন্তরে?
তোমার শ্রী-বৃদ্ধিকারী সামান্য মৃদু হাসি
দেখিবার তরে যার ডাগর আখিঁ সদা অপেক্ষমান,
তাহার পিপাসা মিঠাইবার লাগি- ছলকায়
না তোমার ঐ ওষ্ঠগোচরে একবিন্দু মিষ্টি হাসি?
আজো কি প্রতিবারের মত চুপ
রইয়া পার পাইতে চাও তুমি নবকুমার?
চুপ থাকিয়া তুমি অপেক্ষার প্রহর আর
প্রেমের পরীক্ষা দীর্ঘায়িত করো না, নবকুমার!
অতিপক্ক ফল সদৃশ প্রেমেরও পচন
হয় অতিঅবহেলায়, অবজ্ঞায়!
আর চুপ থেকোনা তুমি, নবকুমার।
চুপ থেকোনা তুমি, নবকুমার,
আর চুপ থেকোনা।