আমি তো কখনো ছুঁতে চাইনি,
চাইনি কোনো নিবিড় আলিঙ্গন,
শুধু হাত দুটো মুঠোয় পুড়ে
জ্যোৎস্নায় ভাসাতে চেয়েছি প্রেমাঙ্গন।

আমি চাইনি তোমার ভোর হতে,
চাইনি বিমর্ষ বিকেলের রোদ হতে,
শুধু ঝিরি হাওয়া হয়ে
উড়াতে চেয়েছি তোমার এলোচুল,
এই কি ছিল আমার
একমাত্র ভুল?

মিথ্যে প্রতিশ্রুতির বাহক হতে চাইনি,
মন ভোলানোর হাসি হতে চাইনি,
চাইনি ঝলমলে মিথ্যের ঝলক হতে,
কিছুটা অন্ধকারের পথ মাড়িয়ে
আলোয় খুঁজেছি বন্ধুর আলেয়া।

আজ তোমায় দেখে মনে হয়
বড্ড বেশি বেঁধেছিলাম,
বিনি সুতোয় গেঁথেছিলাম,
আমাদের স্বপ্ন বাসর খানা;

জানো, তোমার কাছে করুণা চেয়েছি
ভালোবেসে মুক্তি চেয়েছি,
অথচ দুহাতে এক পেয়ালা পান করালে
মুক্তির দাবানল,
কত যতনে বুকে টেনে নিয়ে
মুক্তির বদলে দিলে আমৃত্যু কারাবাস।

আমি সেই অসহায় শালিকটি হয়ে
চিৎকার করে বলি-
ভালোবাসি, ভালোবাসি, ভালোবাসি!

তুমি কি শুনতে পাও, রজনী?
নাকি এখনো নীড়হারা ঢেউ হয়ে
তীর খোঁজো হন্যে হয়ে?
তরীর নোঙ্গর তবে কি বন্ধন হারালো?

একদিন ঠিক আসবে আবার-
চৈতালী সন্ধ্যায়, জোনাকীর পেখমে,
নিয়নের আলোয়, শিশিরের ডগায়
কান পেতে শোনো,
ওই দূরে শালিক চিৎকার করে বলে-
ভালোবাসি, ভালোবাসি, ভালোবাসি।
তুমি কি শুনতে পাও, রজনী?