অনেক হিসেব -নিকেশে করেছি সাজ,
পড়েছি সেই শাড়ি -
যা উঠে এসেছিলো বহু নির্বচনে ।
চন্দ্র কলা কর্ণে ঝুলিয়েছি তোমার পছন্দে,
কপালে এঁকেছি তারার টিপ,গলে গজোমতি;
মায়াবী আল্পনা কোমল কপোলে ফেলে -
রংধনুর সাতরঙে বদন করেছি সৌরসম,
শুধু তোমায়  ঝলসে দেব বলে।
মেঘবরণ কেশে এনেছি তিমির বিন্যাস,
কালোর সাথে রং মিশিয়ে করেছি বর্ণময়-
শুধু তোমার আলতো ছোঁয়ার আশে।
চুলে চুলে চিরিক এনে খোপায় করেছি মোহনীয় কারুকাজ,
সুন্দরতম ফুল গুঁজেছি নান্দনিক সৌকর্যে,
প্রসাধনীর বিরল তীব্রতা আজ তোমাকে মাতাল করে দিক-
প্রস্ফুটিত হউক হৃদয় আজ সুবাসিত চন্দনে।
বীনাকৃতি উল্কি-ফোটানো অঙ্গে আজ যদি কামনার ঢেউ আনতে না পার,
আর না পার ফোটাতে ভালোবাসার ফুল;
তবে ভাববো তুমি কোন সুনিপুণ শিল্পী নও!
কিন্তু আমার শিল্পীমন আজ,
নানান নকশা এঁকেছে নীলাম্বরী শাড়িতে;
দেবীর মত মোহিনী রূপে দেখা দেবে বলে-
আজ সর্বাঙ্গে এনেছে সৌষ্ঠব।
সুদৃঢ় বন্ধনীতে সুডৌল পয়োধর,
আজ সুতীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে চেয়ে থাকবে তব
কৌঁসুলি হাতের সৃষ্টিশীল কামনায়!
কন্ঠ সেঁধেছি  শিল্পীর ন্যায়,নাসিকা যেন বংশী
সর্বাঙ্গে সেতার বেঁধেছি সুরস্রষ্টা আজি তুমি।



রচনাকালঃ ১৬/০৯/২০১৪