দুর্গা পূজার প্রবর্তক জসদা নন্দন,
এমনই কথা বলে বৈবর্ত পূরাণ।
প্রথম দুর্গা পূজা তাই শ্রীকৃষ্ণই করে,
স্থান ছিল বৈকুন্ঠের মহারাসমণ্ডলে।
দ্বিতীয় দুর্গা পূজা ব্রহ্মা ভয়ে করে,
যখনই ধরেছিল তারে দৈত্য মধু-কৈটভে।
ত্রিপুর অসুরের সাথে যুদ্ধ করতে করতে,
শিব একদা পড়লেন মহা বিপদে-
বিপদ থেকে উদ্ধারিতে করেন দুর্গা স্মরণ,
এইভাবে শিব করেন তৃতীয় পূজন।
দুর্বাসা মুনি একদা হইলেন মহা ক্ষিপ্ত,
যার মূল কারন ছিলেন দেবরাজ ইন্দ্র।
দুর্বাসার অভিশাপে ইন্দ্র লক্ষ্মীকে হারাইলেন,
ফিরে পেতে চতুর্থবারে দেবীর পূজা করেন।
এইভাবে দুর্গা পূজা রটিলো ধীরে ধীরে-
ব্রহ্মবৈবর্ত  পূরাণ সে কথাই বলে।
ভাগবত পূরাণ মতে ক্ষিরোদসাগর তীরে,
ব্রহ্মা মানস-পুত্র মনু; দুর্গা পূজা করে।
মার্কণ্ডেয় পূরাণ মতে করে দুর্গা পূজো,
রাজা সুরথ আর সমাধি বশ্যো।
হৃত স্বর্গ ফিরে পেতে দেবতাগণ,
একাধিক বার দেবীর করেছেন পূজন-
সে কথাই বলে চণ্ডীর দেবীমাহাত্ম্যম।
এভাবেই নানা অসুর বধে পান নানা খ্যাতি-
মধু-কৈটভ,শুম্ভ-নিশুম্ভ আর কত দুর্মতি,
মহিষাসুর বধে রূপ মহিষাসুর-মর্দিনী।
সর্বশেষে রামায়ণ যে কথা বলে,
সেইমতে আজকের দুর্গা পূজা চলে।
রামায়ণ মতে রাবণ ছিলেন শিবভক্ত,
সকল বিপদেই শিব তাকে উদ্ধারিত-
নিরুপায় হয়ে রাম অকালে দুর্গা পুজিলেন,
ব্রহ্মার পরামর্শে সেমতে রাবণ বধিলেন।
শক্ল পক্ষের ষষ্ঠীতে রাম করেন বোধন-অধিবাস
সপ্তমী,অষ্টমীতে পূজিয়াও হইলেন নিরাশ!
অতপর নবমীতেও পূজাবাঞ্চা করেন,
সেমতে দুর্লভ একশো আট নীল পদ্ম আনেন।
রাম ভক্ত হনুমান পদ্ম সব এনে দেন,
তথাপিও দেবী না রামের সাথে দেখা দেন।
রামকে পরীক্ষায় ফেলে এক পদ্ম লুকালেন-
নীজ নীলাক্ষী ত্যাগে উদ্যত হয়ে রাম,
সে পরীক্ষা জিতিলেন।
অবশেষে তুষ্ট দেবী রামকে দেখা দিলেন,
রাম তাঁর আশীর্বাদে রাবণ কে বধিলেন।
সেই নিয়মে এই শারদীয়া চলে,
দ্বিতীয় বার পূজা হয় বসন্তকালে।



01/10/2014