নারী এবং পুরুষের কথা বললাম, বাকী থাকে থার্ড জেন্ডার-
খাঁটি বাংলায় যাদের হিজড়া বলা হয়।
থার্ড জেন্ডার কি আসলে কোন জেন্ডার বা লিঙ্গ?
আমার তো মনে হয় ইহা বিকলাঙ্গ!
থার্ড জেন্ডার সম্পর্কে,
আমাদের অধিকাংশের ধারণাই বেশ অস্পষ্ট।
কারণ ধারণা রাখার প্রয়োজনবোধটুকুও আমাদের নেই!
এরা এগ্রহের বাসিন্দা হয়েও যেন ভীনগ্রহী,
যেন এলিয়েন!
সবাই হাস্যরসপূর্ণ কৌতূহল নিয়ে তাকায়,
কিন্তু কেউই বিষ্ময় কৌতূহল নিয়ে ভাবেনা-
এ ব্যাপারে সবাই উদাসীন!
এলিয়েনদের নিয়ে,নারী-পুরুষ নিয়ে-
লেখক,গবেষক,কবি,সাহিত্যক ওবিজ্ঞানীদের
ভীষণ কৌতূহল ও উন্নয়ন গবেষণা।  
কিন্তু থার্ড জেন্ডার গবেষণায় -
আছে ব্যাপক অবহেলা,আছে গুটিকয় হাতে গোনা !
প্রাণীর জন্মই হয় দুঃখ ভোগের জন্য।
নারী পুরুষের যে সকল দুঃখ,
আসলে এগুলো কোন দুঃখই নয়,বলতে গেলে দুঃখ বিলাস!  
প্রকৃত দুঃখ বোধ হয় এই হিজড়াদেরই!
মানুষ সামাজিক জীব,বাস করতে হলে তার সমাজ লাগবে।
কিন্তু হিজড়াদের কি আদৌ কোন সুস্থ সমাজ আছে,
না আছে তাদের সামাজিক স্বীকৃতি ?
কোনটাই নেই,অথচ সব থেকেও সামান্য অসামাজিক ক্যালেঙ্কারীতে,
আমরা আত্মহত্যা করি,আমাদের মর্যাদা এতই বেশি!
জানেন তো আপনার মান আছে,
যতক্ষণ আপনার শরীরে বস্ত্র আছে।
একবার সবার সামনে আপনাকে বিবস্ত্র করার
চেষ্টা করা হলে,
আপনি প্রাণপন চেষ্টা করবেন মান রক্ষার।
অবশেষে যখন জোর করে হরণ করা হবে আপনার ইজ্জত,
এবং ইজ্জত রক্ষার আর কোন বস্ত্র বা সুযোগ
দেয়া হবে না,
তখন আপনার সামনে থাকবে দুটো পথ-
সুইসাইড করা কিংবা নির্লজ্জ দাঁড়িয়ে থাকা!
সুইসাইড তো এক ধরনের মুক্তি ।
একটু ভাবুন তো,
দীর্ঘদিন ধরে মুক্তির সুযোগ না দিয়ে  আপনাকে এভাবেই রাখা হলো-
একটা সময় নির্লজ্জতা আপনার আর থাকবে কি?
নির্লজ্জতার সাথে আপনি অভ্যস্ত হয়ে গেলেন-
বলা ভালো আপনাকে জোর করে অভ্যস্ত করানো হলো।
হিজড়ারা হচ্ছে এই করুণ পরিণতির শিকার!
বলতে পারেন কে এই কাজটা করলো?
এই ক্রীড়নকের নাম শোনাবো না,
কারণ আপনাদের সহ্য হবে না।
আপনাদের দৃষ্টিতে তার কোন ভুল বা দোষ নেই,
তিনি ভুল বা দোষের ঊর্ধে!
আমি বলি সে যদি হয় মহা জ্ঞানী কিংবা সর্বপুজ্য,
তবে তাকে আমি ঘৃণা করি,তার এই জ্ঞান আমার নিকট প্রবল ধিক্কার যোগ্য!
তবে দুঃখের বিষয় এর পিছনে নেই কোন মহা জ্ঞানী,
আছে জ্ঞান হীন এক মিশ্র জটিল সত্তা!
কি নির্মম এদের জীবন -
কোন সভ্য ঘরের ছোট্ট শিশু যখনই
তার শরীর ও মনে হঠাৎ অসংগতি লক্ষ্য করে,
সভ্য,মায়াময়ী-মমতাময়ী পিতা-মাতাও
হঠাৎ নির্দয় ও অসভ্য হয়ে ওঠেন!
দুর-দুর করে ঘর থেকে বের করে দেন -
তার আদরের সন্তান,সাত রাজার ধন, মানিক রতন কে,
ঠেলে দেন ঠিকানাহীন এক অনিশ্চিত জীবনের পথে!
সম্ভবত প্রকৃতির সবচেয়ে অবহেলিত জীব এই হিজড়া!
বলতে গেলে সৃষ্টির বাই প্রোডাক্ট এরা।
আর কত লিখতে পারি-
লেখার পরও আরও থেকে যায় যে বাকি,
আপনাদের তাই এগিয়ে আসতে-
করজোড়ে অনুরোধ করি।


18/10/2014
10:37 am