সুদিন হয়তো আসছে(অণুসৌধ কাব্য-০১)
                 পার্থ সাহা
      
-                           সু
                           দিন
                         এদেশে
                       আসিতেছে
                     আমার আস্থা
                    তরুণ  ধী-নেতা
                  গোপনে তৈরী হচ্ছে


        19/10/2014
  .      12:55
        
কবিবর পলক রহমানের ভাষ্যমতে তিনি কবিবন্ধু হাসান ইমতির ঘরানার কাব্য নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতে স্মৃতিসৌধ কবিতার ধারণা লাভ করেন বা আবিষ্কার করে ফেলেন।তবে কবিবর পলক রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি,এ ধরনের গঠন নিয়ে
তথা বাংলা কবিতার কাঠামোর পরিবর্তন নিয়ে আমি বহু আগে থেকেই নানান পরীক্ষা
নিরীক্ষা চালিয়ে ছিলাম,যেমন:মানচিত্র কাব্য,স্মৃতিসৌধ কাব্য,মীনার স্মৃতি কাব্য ইত্যাদি।অর্থাৎ যেগুলো আমাদের স্বাধীন সত্তার সাথে জড়িত সে গুলো। স্মৃতিসৌধ কাব্য যে সাত লাইনের বেশি হতে পারে,এটা আমি কখনো কল্পনাও করতে পারিনি।আমি সব সময় চেষ্টা করেছি কিভাবে কবিতার ভাবকে সাত লাইনের মধ্যে রাখা যায়,কারণ আমাদের স্মৃতিসৌধ সাতটি ত্রিভুজাকৃতি স্তম্ভের সমন্বয়ে তৈরি।এক একটি লাইন যেন এক একটি স্তম্ভকে নির্দেশ করে কিন্তু তা করতে গিয়ে দেখলাম কবিতার আকৃতি এত ছোট হয়ে যায় যে,পরে দ্বিধা-দ্বন্দে আর আগাইনি।কিন্তু পলক রহমানের কবিতা লিখতে লিখতে মনে হলো আমি তো আমার সে কবিতা চালু করতে পারি,কবিতা যেমন আছে,অণুকবিতাও আছে,সুতরাং স্মৃতিসৌধের সাথে অণুসৌধ থাকলে দোষ কি?তবে
স্মৃতি সৌধ ও অণু সৌধের মধ্যের কিছুটা পার্থক্য আছে নিচে তা দেয়া হলো:


স্মৃতি সৌধ ও অণু সৌধ কাব্যঃ
ভাবঃ স্মৃতিসৌধে ভাবের দৈর্ঘ্য নিয়ে কোন বাধ্যবাধকতা নেই,কিন্ত অণুসৌধে ভাব ক্ষুদ্র হবে কিন্তু ইঙ্গিত বিশাল গভীরতার দিকে থাকবে যা তলিয়ে দেখার মত হবে।
বিষয় ও নিয়মাবলীঃ একই
জ্যোতিচিহ্নঃ স্মৃতিসৌধে জ্যোতিচিহ্নের ব্যবহার নিয়ে কোন বাধ্যবাধকতা  আছে কিনা সঠিক জানা নেই।
তবে অণুসৌধে জ্যোতিচিহ্নের ব্যবহার না করলেও চলবে।জ্যোতিচিহ্নের ব্যবহার নিয়ে অণুসৌধে কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
উদ্ভাবকঃ স্মৃতি সৌধ  কবিতার উদ্ভাবক পলক  রহমান,অণুসৌধ কাব্যের উদ্ভাবক পার্থ সাহা।
লাইনঃ স্মৃতিসৌধে কোন বাধ্যবাধকতা নেই , কিন্ত অণুসৌধে লাইন ৭টি হবে কমও নয়,বেশিও নয়।৭টি লাইন স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ৭টি তাৎপর্যপূর্ণ ধাপ বা বৈশিষ্ট্যের ৭টি স্তম্ভ কে নির্দেশ করে,যা জাতীয় স্মৃতিসৌধেও ত্রিভুজাকার ৭টি স্তম্ভ দ্বারা বিদ্যমান।
ব্যর্থতাঃ স্মৃতিসৌধ কবিতায় সব সময় স্মৃতিসৌধের সপ্ত স্তম্ভের বৈশিষ্ট্য রক্ষিত হয় না, অণুসৌধ কবিতায় স্মৃতি সৌধের প্রকৃত আকৃতি দৃশ্যমান হয় না,বরং সেটা না হয়ে ক্ষুদ্র আকৃতি দৃশ্যমান হয়,যে কারণে এটি অণুসৌধ।
বি.দ্রঃ স্মৃতিসৌধ ও অণুসৌধ কবিতার গঠন অনুযায়ী সকল অণুসৌধই স্মৃতিসৌধ, কিন্তু সকল স্মৃতিসৌধ অণুসৌধ নহে।