মানুষের গড় আয়ুর তুলনায় ,
তার বয়সন্ধিকাল অতি দ্রুত আসে।
আমি বার -চৌদ্দ বৎসরের কিশোর কিশোরীদেরও,
যৌবনের শুভাগমন ঘটতে দেখেছি।
একে শুভাগমন না অশুভাগমন বলা উচিত
এ নিয়ে তীব্র সন্দেহ রয়েছে,
আর ওদেরও কিশোর-কিশোরী না যুবক যুবতী বলা উচিত,
তা নিয়েও বিতর্কের তুমুল অবকাশ রয়েছে।
এত দ্রুত রতিশক্তি জন্মালে তাকে রুধিবার উপায় কি?
অথচ বছরের পর বছর একে হিংস্র কয়েদীর মত,
শিকল পরিয়ে রাখতে হয়!
যে বয়সে ইহা আসে,
সে বয়সে বুদ্ধি ও আত্ম নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতাও আসে না।
ফলে ঘটে নানা অঘটন-
যুবক-যুবতীরা হয়,অঘটন-ঘটন পটিয়সী!
হবে না কেন?ক্ষুধার রাজ্যে তো পৃথিবী গদ্যময়,
পূর্ণিমার চাঁদ ঝলসানো রুটি,
খাদ্য না পেয়ে শান্ত কবিও একদা হিংস্র হয়ে বলেছিলেন,
খাদ্য দে হারামজাদা,না হলে মানচিত্র খাব।
ক্ষুধা চেপে কত দিন থাকা যায়?
এটাও তো একধরনের জৈবিক ক্ষুধা!
ক্ষুধা থাকলে,তা নিবারণের উপায়ও থাকতে হবে,
কিন্তু কই আছে কি?
জগতের প্রধান পাঁচটি মৌলিক চাহিদার মধ্যে,
গবেষক-বুদ্ধিজীবীগণ একে রাখেন নি,
এমনকি সর্বজ্ঞানের কারিগরও-
জ্ঞান খরচ না করেই একে অসময়ে দিয়েছেন,
তবে কি তাদের জ্ঞান-বুদ্ধি প্রশ্ন সাপেক্ষ নয়?


14/11/2014