সুশ্রী লোকগুলো যত খারাপই হোক না কেন,
তাদের দেখতে নিষ্পাপ ও মায়াবী মনে হয়!
আর কুশ্রী লোকগুলো যতই ভালো হোক না কেন -
তাদের দেখলে গাত্র জ্বালা করে,
শত পরিষ্কার থাকলেও নোংরা মনে হয়,
চেহারায় ভূতের দৃষ্টি গোচর হয়!
যে শিশুদের আমরা সদা নিষ্পাপ বলি,
সে শিশুও কুশ্রী হলে কাছে ঘেঁষতে ইচ্ছে করে না,
কিন্তু সুন্দর ফুটফুটে হলে কোলে তুলে আদর করতে ইচ্ছে করে।
জগতের সর্বত্রই বৈষম্য!
পৃথিবীর সুশ্রী নারীদের সৌরভ ছড়ানো ফুলের মতই,
সুদর্শনীয় ও চিত্তাকর্ষক মনে হয়!
কিন্তু কুৎসিত নারীদের তেমন নয়,
এটা মেনে নিতে বড়ই কষ্ট হয়!
মাঝে মাঝে রুচিবোধের উপরই ঘৃণা এসে যায়,
কিংবা ঘৃণা আসে তার উপর যিনি দিয়েছেন এ রুচিবোধ-
সৃষ্টি করেছেন জন্মসূত্রেই হাজারো বৈষম্য!
প্রশ্ন জাগে কোন মহান সত্তার পক্ষে কি এসব সম্ভব?
বা সম্ভব হলে তাকে কি মহান বলা যাবে?
যারা বৈষম্য সৃষ্টি করে তাদের তো আমরা
খারাপ চোখেই দেখি,কুটিল ভাবি-
তবে কি এসব কোন কুটিল -জটিল সত্তার কাজ,
যে সত্তার কোন জ্ঞান-বুদ্ধি নেই,নেই কোন বুদ্ধিবৃত্তিক সৃজন?
ঘটনার ঘনঘটাায় যা আসে তাই হয়-
জগতের সকল উৎপাদন!


15/11/2014