শত চেষ্টায় পাইনি আমি কভু তোমার মন,
এবার পাবো আশায় আছি, কারণ-
অব্যর্থ এক উপায় আনলো,আধুনিক বিজ্ঞান।
এখন থেকে একজন পারবে নিয়ে নিতে
অন্য জনের মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ!
ভাষার ব্যবহার ছাড়াই বার্তা,
মস্তিষ্ক থেকে মস্তিষ্কে যাবে দ্রুত প্রেরণ।
তাই ভাবছি এবার করবো তোমার মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ!
ভয় হয় - কেউ যদি উল্টো নিয়ে নেয় আমার নিয়ন্ত্রণ ?
ভাবছেন,আমি নিজেই শুরু করলাম অপব্যবহার-
অন্যরা তো করবে ঢের তাহার!
অপব্যবহার করে আমার মত যারা-
অপব্যবহারের তরে বিজ্ঞান কিছুই করে না।
তাই তো এবার জানার আছে এর ভালো দিকটা,
বিমূর্ত যে ধারণা,শিক্ষক ছাত্রকে দিতে পারে না;
কিংবা স্ট্রোকগ্রস্থ ব্যক্তি,যার মস্তিষ্ক ঠিক কাজ করে না,
অথবা নিয়ন্ত্রণ হারানো কোন উড়োজানের চালক,
যে  নিশানা খুঁজে পাচ্ছে না-
এ প্রযুক্তি তাদের দেবে সঠিক দাওখানা।
এটা চালু হলে ভাষা হয়তোবা যাবে জাদুঘরে,
কারণ, বিনা বাক্য ব্যয়ে তথ্য অন্যের মাথায়-
পাঠাতে চাইলেই অবাধে চলে যাবে!
তাই যারা বোবা,কানা,বধির আছে-
এটা তাদের জন্য বড় এক আশীর্বাদ।
এটা আরো আশীর্বাদ তাদের জন্য,
যারা শুধু পক্ষাঘাতের কাছেই দৈন্য!
তবে অপব্যবহারের ভয়ে আছেন যারা,
তাদের জন্য রইলো এই বার্তা-
এটা ঠেকাতে করণীয় যা,
বিজ্ঞানীরা বসে বসে করছেন এখন তা-
তাই চিন্তার কোন কারণ নেই,
আগামী বিশ বছর আগে তা সহজলভ্য হবে না।
বিঃ দ্রঃ,সবার মঙ্গলের তরে আমার প্রতিজ্ঞা-
শুধু নিজ স্বার্থের লাগি বিজ্ঞানের দুর্নাম করব না।



15/11/2014
10:09am