দেশপ্রেম বা দেশাত্মবোধের কোন সঞ্জা দেয়া যায়না।
দেশাত্মবোধ নিয়ে যখন ,
আমরা জাতীয় দিবসগুলোতে আবেগ প্রকাশ করি-
তখন অনেকেই প্রশ্ন তোলেন,
সারা বছর দেশপ্রেম কোথায় থাকে,আমরা কি করি?
অনেক লোককেই দেখেছি -
নামাজ -কালাম,পূজা-অর্চনা কিছুই করেন না,
কিন্তু ধর্ম নিয়ে কেউ বাজে মন্তব্য করলে-
তেলে বেগুনে জ্বলে উঠতে মোটেও দেরি করেন না।
কি বোঝা যায় এতে-
তারা অধার্মিক না ধর্মীয় মূল্যবোধ নেই?
আসলে তারা ধার্মিক নন,তবে ধর্মীয় মূল্যবোধ রয়েছে।
তারা ধর্ম পালন করে না,তবে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।
তারা ধর্মের চর্চা করে না কিন্তু ধর্মে থাকতে পছন্দ করে।
আর যারা  ধর্মে বিশ্বাস করেনা, থাকতে চায়না তারা নাস্তিক ।
শান্ত ধার্মিক ও জঙ্গী ধার্মিকের মতই রয়েছে,
শান্তিবাদী নাস্তিক ও জঙ্গীবাদী নাস্তিক।
দেশপ্রেম বা দেশাত্মোধও ঠিক একই রকম-
কেউ কেউ দেশাত্মবোধ বা দেশপ্রেমের চর্চা করে,
দেশের কল্যাণে সারা জীবন নিজেকে উৎসর্গ করে,
মিনার কিংবা স্মৃতিসৌধ গুলোকে পবিত্র চোখে দেখে,
পরম শ্রদ্ধায় যত্ন কিংবা পরিচর্যা করে।
কেউ কেউ দেশপ্রেমে বিশ্বাস করে বা দেশকে
ভালোবাসায় বিশ্বাস করে,
জাতীয় দিবসগুলোতে এ চেতনা জোয়ারের মত আসে-
মন-প্রাণ নেচে ওঠে,শিউরে ওঠে!
আর যারা এতে বিশ্বাস করে না-
তারা দেশদ্রোহী বা রাজাকার হতে পছন্দ করে,
দেশকে বিভাজিত করতে চেষ্টা করে কিংবা
ভিন্ন দেশ গড়তে চায়।
ভিন্ন কমিউনিটি বা দেশ গড়তে চাওয়টা দোষের কিছু নয়,
তবে তা দেশদ্রোহী বা রাজাকার হয়ে নয়,
হতে হবে অসহিংস উপায়ে ও
ন্যায্যতার ভিত্তিতে রক্ত পাতহীন ভাবে।
বিভীষণ হওয়া দোষের কিছু নয়,
তবে বিভীষণ হওয়ার ইচ্ছে থাকলে-
তা রাবণের ঘরে নয়,রামের ঘরে গিয়ে হওয়া মানায়,
অন্যথা বিভীষণ মীরজাফরে বর্তায়।
মীরজাফর খুবই খারাপ ও ভয়াবহ-
এখানে লোভ, স্বার্থ ও নৃশংসতা জড়িত!


07/12/2014
8:13 pm
d.m.