আমাকে শীত তার কনকনে প্রবাহে করেছে শুভ্র তুষার,
গ্রীষ্ম তার রুক্ষ অগ্নি-ঝরা দাবানলে করেছে ধূসর মরু;
আর ঐ নিষ্ঠুর শ্রাবণ-বর্ষা ,
তার ঝড়ো উল্লাসে করেছে ছাড়খার!
তাই আমি যাযাবর-
পথে পথে আজও খুঁজি পূর্ণ স্থাবর।
শ্রাবণের বান আর মৃত্যুক্ষুধা আষাঢ়ের ফুলে উঠা রাক্ষুষে পানি,
আমাকে অতলে নিয়ে গেলেও;
আমি পুনরায় মাথা তুলে উঠি,ধরি ভাসমান ভেলা!
তবুও আমি ক্লান্ত নই,
কারণ আমাকে পাড়ি দিতে হবে অনেক-অনেক দূর পথ।
তা ভেসে ভেসে হউক আর আরামদায়ক কোচে করেই হোক,
যাহা নাকি এক বিরাট অসাধ্য সাধন-লোকে বলে।
যে যাহাই বলুক তবুও তা আমি করি সাধন!
শরতের মেঘমুক্ত আকাশ আর মৃদুমন্দ বাতাসে-
প্রিয়জনের হাত ধরে ঘুরে বেড়ানোর সাধ আমারও ছিল!
কিন্তু বেদরদী শরৎ আমাকে দেখে মুখ ফিরিয়ে নিল-
দিল না তার জোৎস্না-ধোয়া রজনীতে সিক্ত হয়ে;
পূর্ণ শশীর বর্ণ ছড়ানো,হৃদয় জুড়ানো উজ্জ্বল-উচ্ছল হাঁসি দেখতে!
হেমন্তে সর্বত্র নবান্নের ধুম পড়ে গেলেও,
আমার ঘরে অন্ন জোটেনি!
তাই বলে আমি থেমে যাইনি,দু'চোখ মেলে শুধু তাকিয়েছি-
হে বসন্ত!তোমার আসতে কত দেরি?


২৬/০৩/২০০১
9:30 pm
G.S.C.Hostel